× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সুমন খানের ৫ উইকেট, ইরফানের প্রতিরোধ

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
২৬ অক্টোবর ২০২০, সোমবার

বৃষ্টির কারণে দুই দিন পিছিয়ে যায় বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের ফাইনাল। তবে গতকাল আকাশে মেঘ-সূর্যের খেলা থাকলেও সময় মতোই মাঠে গড়ায় ফাইনাল। রান খরার আসরে আশা ছিল শিরোপার লড়াইয়ের দিন ব্যাটসম্যানরা জেগে উঠবেন। কিন্তু হয়নি, টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে নাজমুল একাদশ গুটিয়ে যায় মাত্র ১৭৩ রানে। মাহমুদুল্লাহ একাদশের তরুণ পেসার সুমন খান একাই তুলে নেন ৫ উইকেট। অন্যদিকে আসরে সর্বোচ্চ ১২ উইকেটের মালিক রুবেল হোসেনও এদিন ছিলেন বল হাতে দুর্দান্ত। তার শিকার ২ উইকেট।  এছাড়াও ইবাদত হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ ও অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ নেন ১টি করে উইকেট। তবে নাজমুল একাদশের ইনিংসে শেষ দিকে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন এই আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের মালিক ইরফান শুক্কুর।
দলের বিপর্যয়ে ৭৭ বলে  খেলেন ৭৫ রানের লড়াকু ইনিংস। তাকে সঙ্গ দেন আরেক তরুণ তৌহিদ হৃদয়। ২৬ রান করে আউট হন তিনি। তবে দু’জন মিলে চেষ্টা করলেও দলের স্কোর বোর্ডের চাকা থেমে যায় ২’শর নিচে। আসর জুড়ে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ব্যাটসম্যানরা ভুগেছেন রান খরায়। গতকাল ফাইনালেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
ফাইনালে একাদশে ৩টি পরিবর্তন আনে মাহমুদুল্লাহ একাদশ। বাদ পরেন টানা ব্যর্থ ওপেনার নাঈম  শেখ, স্পিনার রাকিবুল হাসান এবং পেসার আবু হায়দার রনি। একাদশে  ফেরানো হয় পেসার সুমন খান, লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব এবং  ব্যাটসম্যান মুমিনুল হককে। অন্যদিকে নাজমুল একাশে ফেরানো হয় ওপেনার সাইফ হাসান ও অফ স্পিনার নাঈম হাসানকে। তবে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে তরুণ ওপেনার সাইফ সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ। রুবেল হোসেনের বলে মাত্র ৪ রানে ফিরে যান বোল্ড হয়ে। অন্যদিকে টানা ব্যর্থ আরেক ওপেনার সৌম্য সরকারের কাছে ফাইনালে দারুণ কিছুর আশাই ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্য তার। জানা গেছে, দ্বিতীয় ওভারে চোখে পোকা প্রবেশ করায় আর ব্যাট করা সম্ভব হচ্ছিল না তার। যে কারণে বেশ কিছু সময় বন্ধ থাকে খেলা। তিনি ভালো বোধ করলে পুনরায় শুরু হয় খেলা। দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে দারুণ এক চার মারেন সৌম্য। কিন্তু এরপরই তিনি হাঁটতে শুরু করেন সাজঘরের দিকে। পেছন থেকে আম্পায়াররা ডাক দিলে ইশারায় বুঝিয়ে দেন, চোখে পোকা আক্রমণের কারণে সমস্যা হচ্ছে, তাই তিনি রিটায়ার্ড হার্ট নিয়ে চলে যাচ্ছেন।
দুই ওপেনারের বিদায়ে বাধ্য হয়েই নামতে হয় মুশফিকুর রহীমকে। টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা মুশফিক শুরুটাও করেন দারুণ। পেসার সুমন খানের এক ওভারে জোড়া বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। তবে পরের ওভারেই মুশফিককে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন সুমন।  ৩৭টি বলে ১২ রান করেন মুশফিক। তার বিদায়ের পর আবারও ব্যাটিংয়ে নামেন সৌম্য। কিন্তু তাকে ক্রিজে দাঁড়াতে দেননি সুমন। ৫ রান করা সৌম্য ক্যাচ দেন উইকেটের পিছনে কিপার নূরুল হাসান সোহানের হাতে।
৩৫ রানে তিন উইকেট হারানো দলকে টানতে চেষ্টা করেন অধিনায়ক শান্ত। কিন্তু ইনফর্ম ব্যাটসম্যান আফিফ হোসেন রানের খাতা খোলার আগেই সুমনের তৃতীয় শিকার হয়ে ফিরে যান সাজঘরে। দারুণ খেলতে খেলতে শান্ত প্রতিপক্ষ দলের স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজের বলে ক্যাচ তুলে দেন মাহমুদুল হাসানের হাতে। ৫৭ বলে ৩২ রান করেন শান্ত।
৬৪ রানে ৫ উইকেট হারানো নাজমুল একাদশকে ম্যাচে ফেরান ইরফান শুক্কুর এবং তৌহিদ হৃদয়।  শুক্কুর ৪৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। প্রেসিডেন্টস কাপে এটি তার দ্বিতীয় ফিফটি। এরপর হৃদয় ব্যক্তিগত ২৬ রানে আউট হলে এই দুজনের ৮২ বলে ৭০ রানের জুটি ভাঙে। এরপর শুক্কুরও মাহমুদুল্লাহর ওপর চড়াও হয়ে শর্ট মিড উইকেটে ক্যাচ দেন লিটন দাসের হাতে। তাদের দু’জনের বিদায়ের পর শেষ তিন ব্যাটসম্যান দুই অংকই ছুঁতে পারেননি। নাঈমকে ৭ ও নাসুম আহমেদকে ৩ রানে ফিরিয়ে ম্যাচে ৫ উইকেট পূর্ণ করেন সুমন খান। ১০ ওভারে খরচ করেন মাত্র ৩৮ রান।  আসরে তার শিকার মোট ৯ উইকেট। রুবেল হোসেন ৮ ওভারে দেন ২৭ রান।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর