× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বিসর্জনে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
২৭ অক্টোবর ২০২০, মঙ্গলবার

ভক্তদের কাঁদিয়ে কৈলাশে ফিরে গেলেন দেবী দুর্গা। সোমবার বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা। এবার দোলায় চড়ে মর্তে আসা দেবী, ফিরে গেছেন গজে চড়ে। এবার বড় শোভাযাত্রা ছাড়াই সারা দেশে হয়েছে বিসর্জনের কর্মসূচি। পূজা উদযাপন পরিষদের নির্দেশনা অনুযায়ী মণ্ডপ থেকে শোভাযাত্রা ছাড়াই দেবী বিসর্জন দিয়েছেন ভক্তরা। প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে গতকাল সকাল থেকে রাজধানীর বুড়িগঙ্গা তীরে জড়ো হন ভক্তরা। দুপুরের পর থেকেই এক এক করে দুর্গা প্রতিমাকে বিসর্জন দেয়া হয়। এতে মণ্ডপে-মণ্ডপে বাজে বিষাদের সুর।
ভক্তদের অনেকই কান্নায় ভেঙে পড়েন। এর আগে গত ২২শে অক্টোবর মহালয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয় দেবীপক্ষ। মণ্ডপে মণ্ডপে পূজা-অর্চনা, শ্রদ্ধা নিবেদন এবং প্রসাদ বিতরণের মাধ্যমে দেবী দুর্গা ভক্তরা পাঁচদিনব্যাপী দুর্গোৎসব উদযাপন করেন। করোনার কারণে মণ্ডপে দর্শনার্থীর সংখ্যা সীমিত রাখা হয়েছে। এবার সন্ধ্যায় আরতির পর বন্ধ ছিল পূজামণ্ডপ। জনসমাগম রোধ করতে ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্তৃক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সোমবার সকাল ৬টা ৪৫ মিনিট পর শ্রী শ্রী দেবীর দশমীবিহিত পূজারম্ভ প্রতিমা-নিরঞ্জন ও শান্তির জল প্রদান করা হয়। দর্পণ বিসর্জনের পর দেবী দুর্গা ও অন্যান্য দেবদেবীর বিসর্জন দেয়া হয়। এর মধ্য দিয়ে দেবী মর্ত্য ছেড়ে স্বর্গে ফিরেছেন। এদিকে, সকালে দেবী অর্চনা শেষে হিন্দু সধবা নারীরা দেবীপ্রতিমাকে সিঁদুর পরিয়ে দেন। তারপর নিজেরা একে অন্যকে সিঁদুর পরান। তবে ছিলো না সিঁদুর খেলা। আয়োজনের অংশ হিসেবে একইসঙ্গে চলে মিষ্টিমুখ করানো ও ঢাকের তালে তালে নাচ-গান। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সর্বশেষ দেয়া তথ্য অনুসারে জানা যায়, এ বছর সারা দেশে ৩০ হাজার ২২৩টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। গত বছর এর সংখ্যা ছিল ৩১ হাজার ৩৯৮টি। অন্যদিকে, ঢাকা মহানগরে এ বছর পূজামণ্ডপের সংখ্যা ২৩৩টি। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত জানান, করোনার কারণে এ বছর যে শোভাযাত্রা হয়নি। সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিমা বিসর্জন দিয়েছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর