× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

৫০ লাখ টাকার ক্ষতিপূরন দাবীতে সরাইলের এসি ল্যান্ডের বিরুদ্ধে রিট

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে
২৭ অক্টোবর ২০২০, মঙ্গলবার

খাল উদ্ধারের নামে অন্যের বাড়ি খাল করার ঘটনায় ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরন দাবীতে সরাইলের সহকারী কমিশনার-ভূমি ফারজানা প্রিয়াঙ্কার বিরুদ্ধে রিট হয়েছে। কোন নোটিশ ছাড়া ওই বাড়িতে তান্ডব চালানোর অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। বাড়িতে লাগানো প্রায় শতাধিক ফলজ ও বনজ গাছ কেটে ফেলা হয় ফারজানার নির্দেশে। গত ৩০শে সেপ্টেম্বরের এ ঘটনায় উচ্চ আদালতের শরনাপন্ন হয়েছেন বাড়ির মালিক সরাইলের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ফয়সাল আহমেদ মৃধা দুলাল।
গত ১৩ই অক্টোবর হাইকোর্টে রিট (রিট পিটিশন নং ৭১৬৬ )করেন তিনি। এর আগে ১১ই অক্টোবর সংস্থাপন মন্ত্রনালয়ের সচিব,ভূমি মন্ত্রনালয়ের সচিব,ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক,সরাইলের সহকারী কমিশনার-ভূমি ও জেলা সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলীকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়।
রিটপিটিশন ও লিগ্যাল নোটিশে ঘটনার বিষয়ে বলা হয়,৩০শে সেপ্টেম্বর সকাল ১০ টায় পূর্ব কোন নোটিশ ছাড়াই সহকারী কমিশনার-ভূমি ফারজানা প্রিয়াঙ্কা পুলিশ ফোর্সসহ অনেক শ্রমিক নিয়ে ফয়সাল আহমেদ মৃধা দুলালের বাড়ি আসেন। এরপর বেকু দিয়ে মাটি খনন এবং করাত দিয়ে গাছগাছালি কাটার নির্দেশ দেন।
এর কারন জানতে চাইলে সহকারী কমিশনার-ভূমি দুলালকে গ্রেফতার এবং ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সাজা দেয়ার হুমকী দেন। বিকেল ৩টা পর্যন্ত ওই অভিযানে ব্যবসায়ীর নিজের জায়গায় লাগানো ৯০ থেকে ১’শটি গাছ কর্তন করা হয়। পরে সেগুলো ট্রাক ও ট্রাকটরে ভরে নিয়ে যাওয়া হয়। এতে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার এবং  মানসিক ও আর্থিকভাবে আরো ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মামলার আবেদনে উল্লেখ করেন ব্যবসায়ী দুলাল। এছাড়া অভিযানে বিদুৎত এবং গ্যাস সংযোগও ক্ষতিগ্রস্থ করা হয়। অভিযানে যে জায়গাটি খনন করা হয় সেটি সরাইল-কালিকচ্ছ-নাসিরনগর রাস্তার(সিএনবি রোড) পূর্ব পাশে অবস্থিত এবং ভূমির রেকর্ডপত্রে নয়নজুলি শ্রেনীর বলে উল্লেখ রয়েছে। মামলার আবেদনে ওই কর্মকর্তার এমন করার কারন ব্যাখ্যায় বলা হয়, এই ঘটনার আগে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবসায়ী দুলাল এবং তার স্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত মেজর রোজিনা ভূইয়ার অনুকূলে ওই বাড়ির  বিএস রেকর্ড অনুযায়ী দাগ নাম্বার সংশোধন করার জন্যে সহকারী কমিশনার-ভূমি’র দ্বারস্থ হয়েছিলেন দুলাল।  কিন্তু তাতে সময় ক্ষেপন করেন সহকারী কমিশনার ফারজানা। এরআগে কাজটি করার বিনিময়ে অবৈধভাবে নিজের চাহিদার কথা জানান। সেটি পূরন না করায় সহকারী কমিশনার তার ওপর ক্ষিপ্ত হন এবং পরবর্তীতে দেখে নেয়ার হুমকী দেন। এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার-ভূমি ফারজানা প্রিয়াঙ্কা বলেন- মামলার বিষয়ে তিনি কোন কিছু জানেননা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর