× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

এএফসির সেরা ১৬ গোলের তালিকায় সোহেল রানা

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
২৭ অক্টোবর ২০২০, মঙ্গলবার

এএফসি কাপে সেরা ১৬-তে স্থান পেয়েছে সোহেল রানার গোল। আবাহনী লিমিটেডের জার্সিতে সোহেল রানা গোলটি করেছিলেন গত বছর ২১শে আগস্ট। ঢাকায় বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে এএফসি কাপের আঞ্চলিক সেমিফাইনালের প্রথম লেগে উত্তর কোরিয়ার এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভের বিপক্ষে। নাবীব নেওয়াজের পাসে ২৫ গজ দূর থেকে করা তার শটটি কোনাকুনি আশ্রয় নেয় জালে। প্রথম লেগে আবাহনী জেতে ৪-৩ গোলে। অবশ্য ফিরতি লেগে পিয়ংইংয়ে ২-০ গোলে হেরে আর ফাইনালে যাওয়া হয়নি আকাশি-নীল দলের।

প্রথমে এএফসি কাপে সপ্তাহ সেরা হয়েছিল এই  গোল। সমর্থকদের ২৬ হাজার ৮৮ ভোট পেয়েছিল সেটি।
এরপর এএফসি কাপের বর্ষসেরা রানার্সআপ হয় গোলটি। এখানেই শেষ নয়। এএফসি কাপের গত এক দশকে সেরা ৩২ গোলের তালিকায় জায়গা করে নেয় সোহেল রানার এই গোল। সমর্থকদের ভোটে ৩২ থেকে আজ প্রথমে বাছাই করা হয় সেরা ১৬টি গোল। এরপর সেরা ৮, ৪, ২, ১ বেছে নেয়া হবে।

গত বছরই অনূর্ধ্ব-১৯ বঙ্গমাতা আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপের সেমিফাইনালে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে ৩-০ জেতে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে ভলিতে দুর্দান্ত গোল করেছিলেন বাংলাদেশের মনিকা চাকমা। গোলটি জায়গা করে নেয় ফিফার ফ্যানস ফেবারিটের সেরা পাঁচে। মনিকাকে ফিফা বর্ণনা করেছিল এভাবে, ‘ম্যাজিক্যাল চাকমা’ নামে।

মনিকা চামকার পর সেরা ১৬-এ আসতে সোহেল রানার প্রতিপক্ষ ছিলেন সিঙ্গাপুরের হোম ইউনাইটেডের ফরোয়ার্ড খাইরুল নিজাম। ২০১৭ এএফসি কাপে তিনিও এক দুর্দান্ত গোল করেছিলেন। এই দুজনের একজনের গোল বেছে নিতে আজ বিকেল ৪টা পর্যন্ত সমর্থকেরা ভোট দিতে পেরেছেন। চারটায় এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, সোহেল রানা বিপুল ভোটের এগিয়ে। তার নামের পাশে ৮৪ শতাংশ ভোট। নিজামের ১৬ শতাংশ। এর আগে সোহেল তার সমর্থকদের এএফসি ডট কমে  গিয়ে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন, ‘এএফসিতে আমার গোল জায়গা পেয়েছে যা অনেক বড় প্রাপ্তি। সমর্থকদের অনুরোধ করবো আমাকে ভোট দেয়ার জন্য।’  তাতে ভালো সাড়াই পেয়েছেন।

২০১২ সালে কাঠমান্ডুতে নেপালের প্রীতি ম্যাচ দিয়ে সোহেলের আন্তর্জাতিক অভিষেক। কোচ ছিলেন সাইফুল বারীর টিটু। তারপর দেশীয় ফুটবলের অনেক চড়াই উতরাই, তবে সোহেল তার জায়গা হারাননি ক্লাব ও জাতীয় দলে। প্রায় সব বিদেশি কোচের পছন্দের তালিকাতেই ছিলেন। এখন জেমির ডের একাদশেও সোহেলের অবস্থান শক্ত।

সোহেলের জন্ম, বেড়ে ওঠা সবই ঢাকার আরামবাগে। স্থানীয় তৃণমূলের কোচ মোহাম্মদ কালার হাতে হাতেখড়ি। এ ক্যানারি ওয়ার্ফের হয়ে ইংল্যান্ডে অনুশীলনের সুযোগ হয়েছে। সুযোগ হয়েছে আরো ৬ বাংলাদেশি নবীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে অনুশীলনের। ঢাকা মোহামেডানের জার্সিতে দেশের ফুটবলে আলো কাড়া সোহেল গত মৌসুম থেকে খেলছেন ঢাকা আবাহনীতে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর