বিসিবি হাইপারফরম্যান্স ইউনিটের (এইচপি) অনুশীলন শুরুর আধঘণ্টা আগে সকাল ১১টায় হাজির নয়া কোচ টবি রেডফোর্ড। তবে খুব বেশি কিছু করতে দেখা যায়নি তাকে। তরুণ ক্রিকেটারদের অনুশীলন ঘুরে ঘুরে দেখেছেন। অবশ্য সবাইকে নিয়ে একটি মিটিং করেছেন রেডফোর্ড। সেখানে দিয়েছেন নানা নির্দেশনা। এক মাসের ক্যাম্পে রয়েছেন ২৬ জন ক্রিকেটার। লম্বা সময় অনুশীলন চলবে তাদের। এরই মধ্যে এখান থেকে বেশ কয়েকজন খেলেছেন বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে।
তাদের অন্যতম আফিফ হোসেন। প্রেসিডেন্টস কাপের ভুলগুলো এই ট্রেনিংয়ে শুধরে নেয়ার সুযোগ দেখছেন তিনি। আফিফ বলেন, ‘আমাদের এইচপি ক্যাম্প এই (বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ) টুর্নামেন্টের আগে থেকেই শুরু হয়েছিল। আমরা যারা সুযোগ পেয়েছি তারা টুর্নামেন্টে খেলেছি আর যারা সুযোগ পায়নি তারা এখানেই ছিল। আবার সবাই একত্র হয়েছি, ওখানে যে ভুলগুলো করেছি সেসব শুধরে নেয়ার সময় পাবো। আর আশা করি এখান থেকে ভালো কিছু শিখতে পারবো।’
অন্যদিকে, এইচপি ক্যাম্পে ডাক পাওয়া তরুণ পেসার সুমন খান প্রেসিডেন্টস কাপে বল হাতে দারুণ করেছেন। ফাইনালে ৫ উইকেট নিয়ে হন ম্যাচসেরা। দলীয় অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদসহ সিনিয়র ক্রিকেটারদের প্রশংসা পেয়ে দারুণ প্রত্যয়ী তিনি। সুমন বলেন, ‘টুর্নামেন্টটা অনেক ভালো কেটেছে। এখানে একটা সুযোগ ছিল নিজের সেরাটা দেয়ার। ছোট একটা টুর্নামেন্ট, অল্প সময়ের। চেষ্টা করেছি ভালো করার, আল্লাহর রহমতে ভালো কেটেছে, অনুভূতিটাও অসম্ভব ভালো। আসলে সবার প্রত্যাশা বেড়ে গেছে এখন, আমার দায়িত্বও বেড়ে গেলো। পারফর্ম করাতে সবাই হয়তো ভাবছে সামনে আরো ভালো করতে হবে, তাহলে সুযোগ আসবে। রিয়াদ ভাই সব সময় প্রশংসা করেছেন। এটা আমার জন্য দরকার ছিল। ম্যাচ শেষে মুশফিক ভাইয়ের সঙ্গে যখন হ্যান্ডশেক করছিলাম তখন মুশফিক ভাইও বললেন যে- খুব ভালো বল হয়েছে, দরকার ছিল এটা তোমার জন্য। বড় ভাইদের কাছ থেকে যখন এরকম কিছু শুনি স্বাভাবিকভাবেই নিজের কাছে ভালো লাগে।’