× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রাণীনগরে এক ব্যক্তির রহস্যজনক মৃত্যু, লাশ নিয়ে টানাহেঁচড়া

বাংলারজমিন

রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি
২৮ অক্টোবর ২০২০, বুধবার

নওগাঁর রাণীনগরে জহুরুল ইসলাম (৫২) নামে এক ব্যক্তির রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। কাফনের কাপড় পরিয়ে দাফনের প্রস্তুতি নিলেও স্বজনদের টানাহেঁচড়ার কারণে শেষ পর্যন্ত দাফন করতে পারেনি জহুরুলকে। তার মৃত্যুতে এলাকায় নানা রকম গুঞ্জন ওঠায় অবশেষে গত সোমবার রাতে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গতকাল সকালে নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কালীগ্রাম ইউনিয়নের শিবের মাধাইমুড়ি গ্রামে। জহুরুল ওই গ্রামের মৃত লোকমান আলীর ছেলে। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, গত রোববার রাতে জহুরুল স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে খাবার খেয়ে একসঙ্গে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত আনুমানিক ১২টার দিকে হঠাৎ করেই সে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
এ সময় স্ত্রী মরিয়ম পরিবারের লোকজনকে ডেকে তুলে রাতেই তাকে বগুড়ার আদমদীঘি হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। তার মৃত্যুর পর থেকে এলাকায় নানা গুঞ্জন চলতে থাকে। এদিকে গত সোমবার বাদ জোহর নামাজে জানাজা শেষে লাশ দাফন করা হবে এমন সময় নির্ধারণ করা হয়। সকালে লাশের গোসল দিয়ে দাফনের জন্য কাফনের কাপড়ও পরানো হয়। কিন্তু ততক্ষণে লাশ দাফনে বাধা হয়ে দাঁড়ায় পরিবারের লোকজন। কেউ বলে জহুরুলকে বিষ খাইয়ে হত্যা করা হয়েছে। আবার কখনো কথা ওঠে সে আত্মহত্যা করেছে। এ ছাড়া জহুরুল হার্ড অ্যাটাক করে মারা গেছে বলে সকাল থেকেই প্রচার চলে। অবশেষে টানাহেঁচড়ার একপর্যায়ে সন্ধ্যার দিকে জহুরুলের ছেলে মিজানুর রহমান বাদী হয়ে গত সোমবার রাণীনগর থানায় ইউডি মামলা দায়ের করলে রাতেই পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
জহুরুলের স্ত্রী মরিয়ম বলেন, তার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিল। রাতে ঘুম থেকে ওঠে দেখে রক্ত বমি করছে। এ সময় আদমদীঘি হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়। তবে তার স্বামী বিষক্রিয়ায় নাকি অসুস্থতাজনিত কারণে মারা গেছেন তা বলতে পারেননি তিনি। জহুরুলের ছেলে নুরে আলমের স্ত্রী শারমিন আক্তার বলেন, শ্বশুর দীর্ঘ প্রায় ১০-১২ বছর দুবাই ছিলেন। সে সময় যে পরিমাণ টাকা ইনকাম করেছেন, সবগুলো টাকা শাশুড়ি কোথায় কি করেছে তার কোনো হিসাব দিতে পারেনি। এটা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শ্বশুর-শাশুড়ির মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। আমার শ্বশুরের মৃত্যুকে আমার শাশুড়ি স্বাভাবিক বলে প্রচার করলেও আমাদের কাছে অস্বাভাবিক বলে মনে হয়েছে। রাতেই শ্বশুরের মুখ থেকে বিষের গন্ধ পেয়েছি তাই লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
রাণীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ জহুরুল হক জানান, এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে। রাতেই লাশ উদ্ধার করে গতকাল ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসলেই বোঝা যাবে কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর