× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বৈধ কাগজপত্র নেই সেই গাড়িটির

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
২৮ অক্টোবর ২০২০, বুধবার

আইন-কানুনের তোয়াক্কা না করেই ১০ বছর ধরে রাজপথে চালানো হচ্ছিল গাড়িটি। বৈধ কাগজপত্র না থাকলেও ট্রাফিক পুলিশের কোনো ঝামেলায় পড়তে হয়নি। এই ল্যান্ড রোভার গাড়িটির মালিক সংসদ সদস্য হাজী সেলিম। এ গাড়ি দিয়েই ধানমণ্ডিতে ধাক্কা দেয়া হয়েছিল নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমেদ খানের বাইককে। তারপর গাড়ি থেকে নেমে ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর করা হয়।
বিআরটিএ সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরের পর থেকে এই গাড়িটির ফিটনেস সনদ নেই। বছরের পর বছর চলে গেলেও বাধ্যতামূলক ফিটনেস পরীক্ষার ধার ধারেননি তারা। যদিও নিয়ম রয়েছে প্রতি বছর গাড়ির ফিটনেস পরীক্ষা করে ছাড়পত্র নিতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ অনুসারে ফিটনেস সনদ ছাড়া গাড়ি চালানো হলে ছয় মাসের কারাদণ্ড বা ২৫ হাজার টাকা জরিমানা কিংবা উভয় দণ্ড হতে পারে।
গাড়ির ট্যাক্স টোকেন না থাকলে জরিমানা দিতে হবে ১০ হাজার টাকা।
এই গাড়ির মালিকের কাছে বিআরটিএ’র পাওনা হয়েছে পাঁচ লক্ষাধিক টাকা। প্রতিটি যানবাহনকে ফিটনেস ছাড়পত্র নেয়ার সময় রোড ট্যাক্স এবং অগ্রিম আয়কর জমা দিতে হয়। এই গাড়ির মালিককে প্রতি বছর রোড ট্যাক্স সাড়ে সাত হাজার টাকা এবং এর ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট পরিশোধ করার নিয়ম রয়েছে। সেই সঙ্গে প্রতি বছর অগ্রিম আয়কর হিসাবে ৭৫ হাজার টাকা দেয়ার কথা। ২০১০ সাল থেকে কাগজপত্র নবায়ন না করায় পাঁচ লাখের বেশি টাকা গাড়ির মালিক পরিশোধ করেননি। সংসদ সদস্যের স্টিকার লাগানো গাড়িটি ব্যবহার করছিলেন হাজী সেলিমের পুত্র ইরফান সেলিম।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর