নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে ভরাডুবি আঁচ করতে পেরে মরিয়া হয়ে ওঠেছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। কোনো ফন্দি-ফিকির এবার তার পালে হাওয়া দিতে পারছে না। কার্যত সকল কলা-কৌশল যেন মরীচিকায় ঢাকা পড়ছে। ট্রাম্প কার্ড এবার কাজে দিচ্ছে না এমনটা পরিস্কার হয়ে ওঠছে রিপাবলিকান শিবিরের কাছেও। অনেক হাই-প্রোফাইল সিনেটর নিজেদের গুটিয়ে নিতে শুরু করেছেন। পক্ষান্তরে অবস্থা অনুকূলে বুঝতে পেরেও ডেমোক্র্যাট পার্টি উচ্ছ্বসিত নয়। অতীতের অভিজ্ঞতায় অতি সাবধানী পদক্ষেপ ফেলছেন বাইডেন। জরিপের ফলাফলের বিষয়ে খুবই সর্তক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছে ডেমোক্র্যাট ক্যাম্পেইন।
ব্যাটালগ্রাউন্ড রাজ্যেগুলোতে নিজের এগিয়ে থাকার ব্যবধান অব্যাহত রাখতে নানামুখি কৌশল নিচ্ছেন বাইডেন।
তার জন্যে আশার কথা হচ্ছে, এই জনমত ওঠানামা না করে স্হিতিশীল রয়েছে।
অনেকগুলো জরিপের নির্যাস নিয়ে তৈরি সিএনএন পোল অব পোলস্ -এ বাইডেন তার প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে জাতীয়ভাবে অগ্রগামী রয়েছেন শতকরা ১০ শতাংশের ব্যবধানে। সোমবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক টুইটে ইলেকশনের দিন রাতের মধ্যেই ফলাফল ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছেন। ব্যাটালগ্রাউন্ড রাজ্য পেনসিলভ্যানিয়া ও মিশিগানের নির্বাচনী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ডাকযোগে পাওয়া ব্যালট গণনা করে সম্পূর্ণ ফলাফল প্রকাশ করতে ৬ই নভেম্বর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। উল্লেখ্য, আইনগতভাবেই অনেক রাজ্য নির্বাচনের পরও তাদের ডাকযোগে প্রাপ্ত ভোট গণনা করার অধিকার রাখে। যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রভাবশালী দৈনিক ইউএস টুডে আজ রিয়েল ক্লিয়ার পলিটিক্স-এর বরাতে এক রিপোর্টে ব্যাটালগ্রাউন্ড পেনসিলভ্যানিয়া, মিশিগান ও উইসকনসিনে ট্রাম্পের সঙ্গে ২০১৬ সালে হিলারী ও এবার বাইডেনের পার্থক্য তুলে ধরেছে।
পেনসিলভ্যানিয়ায় হিলারীর সঙ্গে ট্রাম্প ২০১৬-তে শূণ্য দশমিক ৭২ শতাংশ ভোটে জিতেছিলেন। এবার সেখানে বাইডেন শতকরা ৫ দশমিক ৩ শতাংশে এগিয়ে। মিশিগানে ট্রাম্প হিলারীর সঙ্গে শূণ্য দশমিক ২৩ শতাংশের ব্যবধানে ২০১৬ সালে বিজয়ী হলেও বাইডেন এখানে অগ্রগামী আছেন শতকরা ৮ দশমিক ১ শতাংশ ভোটে। উইসকনসিনে শূণ্য দশমিক ৭৭ শতাংশ ব্যবধানে ট্রাম্প ২০১৬-তে জয় পেলেও এবার বাইডেন এগিয়ে আছেন শতকরা ৫ দশমিক ১ শতাংশ ভোটের ব্যবধানে। এই রাজ্যগুলো জিতলে এবার বাইডেনের বিজয় অনেকটা নিশ্চিত একবাক্যে বলছেন নির্বাচন বিশ্লেষকেরা।