× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শেরপুরে গৃহবধূ গণধর্ষণ অভিযোগে ২ ধর্ষকসহ গ্রাম্য মাতব্বর গ্রেপ্তার

বাংলারজমিন

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
২৯ অক্টোবর ২০২০, বৃহস্পতিবার

বগুড়ার শেরপুরে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক গৃহবধূ গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। গত ২৬শে অক্টোবর সোমবার দুপুরে নিজ বাড়িতে রান্নার জন্য পাশের বাড়ির সাত্তারের কাছ থেকে কিনে নেয়া গোবরের শুকনা ঘসি আনতে গেলে ওই নারীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করে লম্পট রাজিব ও জলিল। লোমহর্ষক ওই গণধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে শেরপুর উপজেলার ৬ নং বিশালপুর ইউনিয়নের জামাইল হাটের পাশে স্কুলপাড়া গ্রামে। এদিকে গণধর্ষণের ঘটনাটি লাখ টাকার বিনিময়ে ধামাচাপা দিতে তৎপর হয়ে ওঠে গ্রাম্য মাতব্বররা। এ জন্য পুকুর পাড়ের জনৈক সাত্তারের চাতালে ওইদিন সন্ধ্যায় সালিশ বৈঠক বসানো হয়। সালিশ বৈঠকে একলাখ বিশ হাজার টাকা জরিমানা আদায়ের মাধ্যমে আপস-রফা করা হয়। আপসের সম্পূর্ণ টাকা জমা হয় জনৈক খোদা বক্স মাতব্বরের কাছে। এদিকে গত মঙ্গলবার ২৭শে অক্টোবর রাতে জামাইল বাজার এলাকায় গণধর্ষণের ঘটনা নিয়ে অভিযান চালায় শেরপুর থানা পুলিশ।
পুলিশ জামাইল এলাকা থেকে শেরপুর উপজেলার বিশালপুর  ইউনিয়নের জামাইল স্কুলপাড়া গ্রামের হাসান আলী ওরফে ভাষানের ছেলে ধর্ষক রবিউল ইসলাম রুবেল (১৯), পাশের হাটখোলা গ্রামের মৃত বাচ্চু ফকিরের ছেলে আব্দুল জলিল (৩২) এবং  গ্রাম্য মাতব্বর জামাইল মজলিশ পাড়া গ্রামের খোকা মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম (৫৫)কে গ্রেপ্তার করে। এদিকে বুধবার সকালে ধর্ষিতা ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে শেরপুর থানায় একটি গণধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২৬শে অক্টোবর জামাইল মজলিশ পাড়া গ্রামের মাসুদ রানার বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ১ম স্ত্রী গোবরের ঘসি নিয়ে আসতে বাড়ির সামনে থেকে ওই লম্পট রবিউল ইসলাম রুবেল ও আব্দুল জলিল তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে। রুবেলের বাড়ির উত্তর দুয়ারী শয়নকক্ষে নিয়ে এই গৃহবধূর মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এরপর ঘটনাটি জানাজানি হলে গ্রাম্য মাতব্বর খোদা বক্স, ফরিদ উদ্দিন, সাইফুল ইসলামসহ বেশ কয়েক জন মিলে গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে আপস-রফা করে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালায়।
এক পর্যায়ে গণধর্ষণের শিকার ওই পরিবারের পক্ষ থেকে ঘটনাটি গণমাধ্যমের বরাতে পুলিশকে জানালে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. শহিদুল ইসলাম নির্যাতিতা গৃহবধূকে উদ্ধার করে  শেরপুর হাসপাতালে নিয়ে যান। শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম আবুল কালাম আজাদ ওই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। সেইসঙ্গে দুই ধর্ষক এবং এক গ্রাম্য মাতব্বরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর