বাংলারজমিন

রায়পুরে দুগ্ধ শীতলীকরণ কেন্দ্রে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি

২০২০-১০-২৯

 লক্ষ্মীপুরের রায়পুর মিতালী বাজারে অবস্থিত মিল্কভিটা দুগ্ধ শীতলীকরণ কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক ফরহাদুল আলমের বিরুদ্ধে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুধ উৎপাদন, বিপণন, গো-খাদ্য, ওষুধ ও উপকরণ ক্রয়-বিক্রয়ে ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে গত ৪ বছর ধরে প্রতিষ্ঠানটির প্রায় কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন খামারিরা। অভিযোগ পেয়ে মিল্কভিটার প্রধান কার্যালয় থেকে ২ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। জানা গেছে, ২০১৩ সালের জুলাই থেকে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে মহিষের কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়। এ প্রকল্পে মিল্কভিটা অনুদান দেয় ৫ কোটি ১১ লাখ টাকা। ২০১৫ সালে দুগ্ধ শীতলীকরণ কেন্দ্রটি উদ্বোধন করা হয়। বর্তমানে এখানে ১০৪টি মা মহিষ, ৫টি ষাঁড় ও ১০৬টি বাছুর রয়েছে। এসব প্রাণীর প্রতিদিন প্রায় ৬০০ কেজি দানাদার খাদ্য ও ১২শ’ কোটি খড় লাগে। ৭০টি খামার সমিতির মধ্যে চলমান রয়েছে ৩৩টি। যেখানে প্রতিদিন প্রায় ১৫০ লিটার দুধ উৎপাদন হয়। রায়পুরের খামার সমিতির সভাপতিদের লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে তত্ত্বাবধায়ক ফরহাদুল আলম এখানে যোগদানের পর নিজের ইচ্ছামতো জিনিসপত্র ক্রয় করে লাখ লাখ টাকার অনিয়ম করেছেন। ২০১৮ সালের ১৪ই ডিসেম্বর ২০০ লিটার মহিষের দুধ বাহিরে বিক্রি করে তিনি সেই টাকা আত্মসাৎ করেন। মহিষ প্রজনন কেন্দ্রের জন্য বিভিন্ন  প্রকার ওষুধ ক্রয়ের নামে ভুয়া ভাউচার দেখিয়ে প্রচুর অর্থ আত্মসাৎ করেন। দুগ্ধ কারখানার জেনারেটরের তেল কেনার নামেও ভুয়া ভাউচার দেখান। ২০১৯ সালে ২৫শে ডিসেম্বর মিল্কভিটার কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনার কমিটির চেয়ারম্যান সরজমিন তদন্ত এলে দুধ বিক্রির টাকা আত্মসাতের বিষয়টি ধরা পড়ে। সে টাকা চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে কর্তৃপক্ষকে ফেরত দেন তত্ত্বাবধায়ক ফরহাদুল আলম। খামার সভাপতিরা আরো জানান, তত্ত্বাবধায়ক ফরহাদুল আলম দুধ বিক্রির দেড় বছর পর প্রতিষ্ঠানের ফান্ডে টাকা জমা দিয়েছেন। অভিযুক্ত তত্ত্বাবধায়ক ফরহাদুল আলম বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে। খড় ক্রেতাদের ভাউচার না থাকায় আমাদের ভাউচার বানিয়ে নিতে হয়। আমি কখনো বাহিরে দুধ বিক্রি করি নাই। প্রতিষ্ঠানের এক টাকাও আত্মসাৎ করিনি। মিল্কভিটার এজিএম (এডমিন) তোফায়েল আহম্মেদ বলেন, অভিযোগগুলোর বিষয়ে ২ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা সরজমিন কাজ করছেন। তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হবে।
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status