বরগুনায় রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদ-প্রাপ্ত তিন আসামির আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। আসামিরা হলো- আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বী আকন, মো. হাসান এবং মো. রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়। এ নিয়ে এ মামলায় আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত ছয় আসামি হাইকোর্টে আপিল করলেন। একইসঙ্গে, আসামিদের করা আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জরিমানা স্থগিত করেছেন আদালত। একইসঙ্গে, আসামিদের করা আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জরিমানা স্থগিত করেছেন আদালত।
এদিকে মিন্নির আপিল শুনানির আবেদন আগামী ১লা নভেম্বর রোববার আদালতে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন মিন্নির আইনজীবী এডভোকেট মাক্কিয়া ফাতেমা ইসলাম।
গত ১৩ই অক্টোবর বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত তিন আসামি আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বী আকন, মো. হাসান এবং মো. রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়ের আপিল শুনানির জন্য আবেদন গ্রহণ করে আদেশ দেন। আদেশে ওই তিন আসামিকে নিম্ন আদালতের করা জরিমানার দ- স্থগিত করা হয়েছে। ওই তিনজনের আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জরিমানার ওপর স্থগিতাদেশ দেয়া হয়েছে।
এর আগে মিন্নি, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত ও রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজী মৃত্যুদ-ের সাজার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল দাখিল করেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, রিফাত শরীফ হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন হত্যা মামলা বিচারের জন্য রয়েছে। কোনোটিতে পেপারবুক প্রস্তুত হয়ে শুনানির জন্য অপেক্ষমাণ আছে।
আবার কোনোটি পেপারবুক প্রস্তুত হয়েছে মাত্র। সুতরাং আমরা রিফাত শরীফ হত্যাসহ অন্যান্য সকল মামলায় আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্স যেন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ও দ্রুত শুনানি হয় সে বিষয়ে উদ্যোগ নেবো।
শাহ নেওয়াজ রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালত গত ৩০শে সেপ্টেম্বর এক রায়ে নিহতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ছয়জনকে মৃত্যুদ- দেন। একইসঙ্গে চারজনকে খালাস দেন। ৩রা অক্টোবর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়। এর পরদিন আসামিদের মৃত্যুদ- অনুমোদনের জন্য ৪ঠা অক্টোবর হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স পাঠানো হয়। এ অবস্থায় গত ৬ই অক্টোবর নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় মিন্নির আপিল দাখিল করা হয়।
এই ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে চলে আসায় এখন মামলাটির পেপারবুক তৈরির জন্য বিজি প্রেসে পাঠানো হবে। ডেথ রেফারেন্সহ মামলার যাবতীয় নথিপত্র একত্রিত করে বাঁধাই করা হবে, যা পেপারবুক নামে পরিচিত। এই পেপারবুক ছাপা হয়ে হাইকোর্টে আসার পর প্রধান বিচারপতি মামলাটির বিচারের জন্য একটি বেঞ্চ গঠন করে দেবেন।