× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মুক্ত সাকিব

প্রথম পাতা

স্পোর্টস রিপোর্টার
২৯ অক্টোবর ২০২০, বৃহস্পতিবার

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি মিললো সাকিব আল হাসানের। গতকাল শেষ হলো সাকিবের এক বছরের নিষেধাজ্ঞা। যদিও এক বছরের স্থগিত নিষেধাজ্ঞার কারণে আইসিসি’র পর্যবেক্ষণে থাকবেন সাকিব। এ সময়টাতে একই ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়ালে সাকিবের শাস্তি বেড়ে যাবে। এক বছরের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় আজ থেকে সাকিবের খেলতে বাধা নেই। আগামী মাসে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট দিয়ে মাঠে ফিরবেন সাকিব। সাকিবের প্রত্যাবর্তনে উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশের ক্রিকেটাঙ্গন। বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ বলেন, ‘ঘরে ফিরছে আমাদের ছেলে।
এ জন্য আমি খুবই আনন্দিত।’ উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশ দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুও। প্রধান নির্বাচক বলেন, আমাদের সেরা ক্রিকেটার মাঠে ফিরছে। আপাতত আমাদের আন্তর্জাতিক সূচি নেই। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটের জন্য সাকিব দ্রুতই প্রস্তুত করবে নিজেকে। গতকাল নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন বলেন, ‘আগামী ১০ই নভেম্বর অনুশীলন শুরু করবে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের দলগুলো। যুক্তরাষ্ট্র থেকে একটু আগেভাগে দেশে ফিরে নিজ বাড়িতে কোয়ারেন্টিন শেষে অনুশীলনে যোগ দেবে সাকিব।’
জুয়াড়ির প্রস্তাব আইসিসি ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে গোপন করায় সাকিব আল হাসানকে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল। শাস্তির এক বছর স্থগিত নিষেধাজ্ঞা। এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের সঙ্গে অবস্থান করছেন সাকিব।
সাকিবের সঙ্গে ১৩ বছরের লম্বা ক্যারিয়ার কাটানো মাহমুল্লাহ রিয়াদ গতকাল বলেন, ‘ঘরে ফিরছে আমাদের ছেলে। এটা আমাকে খুবই আনন্দিত করছে। আমরা জানি, সাকিব দীর্ঘ দিন ধরেই বাংলাদেশ দলের সেরা ক্রিকেটার। আমরা ড্রেসিং রুমে তার প্রত্যাবর্তনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। তার সঙ্গে দেখা হবে, কথা হবে, সময় কাটবে- এটা ভাবতেই ভালো লাগছে।’
গত মাসে বাংলাদেশ দলের শ্রীলঙ্কা সফরে যাওয়ার কথা ছিল। সূচি অনুযায়ী ২৮শে অক্টোবর শুরু হওয়ার কথা ছিল সিরিজের প্রথম টেস্ট। আর বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজ সামনে রেখে নিজেকে প্রস্তুত করছিলেন সাকিবও। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ এই সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নামার সম্ভাবনা ছিল তার। সেপ্টেম্বরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে সাভারে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) নিজের দুই গুরু মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ও নাজমুল আবেদিন ফাহিমের অধীনে চার সপ্তাহের একান্ত অনুশীলন ক্যাম্পে ঘাম ঝরান দেশসেরা এই ক্রিকেটার। আইসিসি’র বিধি-নিষেধ মেনে এ সময় লোকচক্ষু ও মিডিয়ার আড়ালে নীরবেই নিজের অনুশীলন চালিয়ে যান তিনি। পরে বাংলাদেশ দলের শ্রীলঙ্কা সফর স্থগিত হয়ে গেলে আবারো পাড়ি দেন যুক্তরাষ্ট্রে।
নভেম্বরের মাঝামাঝি ৫ দলের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে বিসিবি’র। এই টুর্নামেন্ট দিয়ে ক্রিকেটে ফেরার উজ্জ্বল সম্ভাবনা সাকিবের।
দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থাকলেও সাকিবের ফিটনেস নিয়ে সন্দেহ নেই মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ বলেন, ‘সাকিব একজন চ্যাম্পিয়ন খেলোয়াড়। আমি মনে করি ছন্দে ফিরতে তার সময় লাগবে না। আমার বিশ্বাস মাঠে নামলেই সে ফিরে পাবে তা। সবচেয়ে বড় কথা হলো তার অনুপস্থিতিতে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছিল তা পূরণ হবে। সে সব সময়ই ব্যাট ও বলে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।’
সাকিবের অনুপস্থিতিতে ভারত ও পাকিস্তান সফরে ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। আর বিসিবি’র প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু বলেন, ‘আমাদের সেরা খেলোয়াড় মাঠে ফিরছে। আপাতত আমাদের আন্তর্জাতিক সূচি নেই। ঘরোয়া ক্রিকেটের জন্য তাকে প্রস্তুত হতে হবে। আমাদের তার শারীরিক অবস্থা দেখতে হবে। ঘরোয়া ক্রিকেট দিয়েই সে শুরু করুক। তাকে সময় দেয়া উচিত। কিন্তু সে খুবই অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। ছন্দে ফিরতে খুব সময় নেবে না।’
মিনহাজুল আবেদিন বলেন, আমরা অবশ্যই তাকে মিস করেছি। সে বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। তার মতো খেলোয়াড় এখন খুব কমই আছে। আমরা ভাগ্যবান যে, তার মতো একজন ব্যাটিং অলরাউন্ডার পেয়েছি, যা আমাদের অনেক সুবিধা দিয়েছে।’
২০২১’র জানুয়ারিতে নিজেদের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পারে টাইগাররা। করোনা মহামারির কারণে আটটি টেস্ট ও বেশকিছু ওয়ানডে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ মিস করেছে বাংলাদেশ।
লকডাউনের সময় ভার্চ্যুয়াল সাক্ষাৎকারে অনেকেরই মুখোমুখি হয়েছেন সাকিব আল হাসান। এদের মধ্যে ধারাভাষ্যকার হর্ষ ভোগলেকে সাকিব আল হাসান বলেছিলেন, ‘আমি বোকার মতো ভুল করেছি।’ ইংল্যান্ডে ২০১৯ বিশ্বকাপে ব্যাটে-বলে পারফরম্যান্স দিয়ে সাকিব নিজেকে তুলে নেন অন্য উচ্চতায়। আসরে আট ম্যাচে ৬০৬ রানের সঙ্গে বল হাতে সাকিব নেন ১১ উইকেট। বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পাওয়ার দৌড়েও ছিলেন সামনের সারিতেই।
কিন্তু জুলাইয়ে বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার প্রায় চার মাস পর অক্টোবরের শেষে গিয়ে জানা যায়, ২০১৮ সালে একাধিকবার জুয়াড়ির সঙ্গে যোগাযোগের খবর চেপে যাওয়ায় সাকিবের বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছিল বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি’র অ্যান্টি করাপশন অ্যান্ড সিকিউরিটি ইউনিট (আকসু)। তদন্তে নিজের দোষ স্বীকার করে শাস্তিও মাথা পেতে নেয়ায় গত বছরের ২৯শে অক্টোবর তাকে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দেয় আইসিসি। এর মধ্যে এক বছর স্থগিত নিষেধাজ্ঞা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর