করোনা শনাক্তের হার আবার বেড়েছে। প্রতিদিনের শনাক্তের হারে গত এক সপ্তাহের মধ্যে গতকাল ছিল সর্বোচ্চ। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ছিল ১২ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ১০ দশমিক ৫৮ শতাংশ। তার আগের দিন ছিল ১০ দশমিক ৪৪ শতাংশ। ৭ দিনে প্রতিদিনের শনাক্তের হার বিশ্লেষণে এই চিত্র পাওয়া গেছে। এতে দেখা যায়, ২৫শে অক্টোবর শনাক্তের হার ছিল ১১ দশমিক ৭৮ শতাংশ, ২৪শে অক্টোবর ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ, ২৩শে অক্টোবর ১১ দশমিক ২৩ শতাংশ এবং নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২২শে অক্টোবর ছিল ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
এদিকে গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে আরো ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ৫ হাজার ৮৬১ জনে।
নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৪৯৩ জন। এ পর্যন্ত ৪ লাখ ৩ হাজার ৭৯ জন শনাক্ত হয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৬১০ জন এবং মোট ৩ লাখ ১৯ হাজার ৭৩৩ জন সুস্থ হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ৫০৬টি নমুনা সংগ্রহ এবং ১২ হাজার ৩৫৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ২২ লাখ ৯৬ হাজার ৩২১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১২ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ এবং এ পর্যন্ত ১৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ শনাক্ত হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৯ দশমিক ৩২ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১৯ জন পুরুষ এবং ৪ জন নারী। এ পর্যন্ত পুরুষ ৪ হাজার ৫১৩ জন এবং নারী ১ হাজার ৩৪৮ জন মারা গেছেন। বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরের উপরে ১৬ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ২ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২ জন এবং ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৩ জন মারা গেছেন। বিভাগ বিশ্লেষণে দেখা যায়, মারা যাওয়াদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫ জন, রংপুর এবং খুলনায় ১জন করে রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ২১ জন এবং বাসায় ২ জন মারা গেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ১২০ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১২ হাজার ৪৫ জন। আইসোলেশন থেকে ২৪ ঘণ্টায় ১৭০ জন এবং এ পর্যন্ত ৭৩ হাজার ৫৮৮ জন ছাড়া পেয়েছেন। মোট আইসোলেশন করা হয়েছে ৮৫ হাজার ৬৩৩ জনকে। প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিন মিলে ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ৫৬০ জনকে। কোয়ারেন্টিন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৪৫ জন এবং এ পর্যন্ত ৫ লাখ ১২ হাজার ৯৯২ জন ছাড়া পেয়েছেন। মোট কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে ৫ লাখ ৫২ হাজার ৪২৫ জনকে। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৩৯ হাজার ৪৩৩ জন।