নোয়াখালীর সুবর্ণচরের চরজব্বর ইউনিয়নের উত্তর চরবাগ্যা থেকে ৫ম শ্রেণির মাদ্রাসা ছাত্রীকে অপহরণের ২৩ দিন পর উদ্ধার করেছে জেলা ডিবি পুলিশ। গত বুধবার রাতে আসামি মো.সুমনের বাড়ি থেকে ভিকটিম ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। ভিকটিম স্থানীয় দারুল মাওয়া দাখিল মাদ্রাসার ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী। বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে আদালতে ভিকটিম ২২ ধারা মতে জবানবন্দী দেন। ভিকটিমের পিতা মো. হোসেন আলী নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নং ২ এ বাদী হয়ে সুমনসহ পাঁচজনকে আসামি করে অপহরনের মামলা করে। আদালতের নির্দেশে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশ ২৩ দিন পর ভিকটিমকে উদ্ধার করে। ভিকটিমের পিতা জানান, ঘটনার দিন অর্থাৎ চলতি মাসের ৫ই অক্টোবর ভিকটিম বাড়ি থেকে মাদ্রাসা যাওয়ার পথে বখাটে সুমন, নেছার ও রুবেল এর নেতৃত্বে ৫ জন ছাত্রীকে জোরপূর্বক সিএনজি উঠিয়ে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে পাওয়া যায়নি।
পরে স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠনের সহযোগীতায় ভিকটিমের পিতা আদালতে মামলা করলে অবশেষে ২৩ দিন পর ডিবি পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা জাকির হোসেনের নের্তৃত্বে পুলিশ তাকে উদ্ধার করলেও ঘটনার সাথে জড়িতদেরকে গ্রেফতার করতে পারেনি। নোয়াখালী জেলা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জাকির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি মানবজমিনকে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযুক্ত সুমনের বাড়ি তাকে ওই মাদরাসা ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে।