× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ফের রেকর্ড

অনলাইন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
(৩ বছর আগে) অক্টোবর ২৯, ২০২০, বৃহস্পতিবার, ৯:৩৭ পূর্বাহ্ন

প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের অর্থের ওপর ভর করে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নতুন মাইলফলক অতিক্রম করেছে। বুধবার (২৮ অক্টোবর) রিজার্ভের পরিমাণ ৪১ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ১০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। এ পরিমাণ অর্থ দিয়ে ৯ মাসের আমদানি দায় মেটানো সম্ভব। গত মার্চে বাংলাদেশে করোনার প্রভাব শুরুর পর থেকে এই নিয়ে রিজার্ভে যুক্ত হলো ৮৬৫ কোটি ডলার। মূলত বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয়ের তুলনায় আয় বৃদ্ধির ফলে করোনা সঙ্কটের মধ্যেও রিজার্ভে একের পর এক রেকর্ড হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, আমদানি কমলেও রপ্তানি ও রেমিটেন্স বাড়ছে। আবার করোনা সঙ্কটের মধ্যে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এডিবিসহ বিভিন্ন বিদেশি সংস্থা থেকে প্রচুর ঋণ পাচ্ছে সরকার। আবার করোনার কারণে বেসরকারি খাতে আগে নেয়া বিদেশি ঋণ পরিশোধের সময় বাড়ানো হয়েছে।
সব মিলিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেড়েছে। ফলে রিজার্ভ হু হু করে বাড়ছে। গত ৮ই অক্টোবর বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ৪০ বিলিয়ন বা ৪ হাজার কোটি ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসের প্রভাব শুরুর পর মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসে প্রবাসী আয় কমেছিল। এরপর থেকে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্স ব্যাপকভাবে বাড়ছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে প্রবাসীরা ৬৭১ কোটি ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন। আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় যা ২১৯ কোটি ডলার বা ৪৮.৫৪ শতাংশ বেশি। এছাড়া ২০১৯-২০ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে মোট ১ হাজার ৮২০ কোটি ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠান প্রবাসীরা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের তুলনায় যা ১৭৯ কোটি ডলার বা ১০.৮৮ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৩ মাসে ১ হাজার ২৬৯ কোটি ডলারের আমদানি হয়েছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় যা ১১.৪৩ শতাংশ কম। অথচ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩ মাসে রপ্তানি আয় ২.৫৮ শতাংশ বেড়ে ৯৯০ কোটি ডলার হয়েছে। আবার বিদেশ থেকে প্রচুর ঋণও পাচ্ছে সরকার। সংশ্লিষ্টরা জানান, করোনাভাইরাসের কারণে দেশের মতো প্রবাসীদেরও অনেকে চাকরি হারিয়েছেন বা আয় কমেছে। এর মধ্যেও রেমিটেন্স বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হুন্ডির চাহিদা একেবারে কমে যাওয়া। আবার সরকারের ২ শতাংশ হারে প্রণোদনার কারণে ব্যাংকিং চ্যানেলে ভালো দাম মিলছে। এর বাইরে একটা শ্রেণি জমানো টাকা দেশে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। আবার বিমান চলাচল সীমিত হয়ে যাওয়ায় সঙ্গে ডলার আনার প্রবণতা কমেছে। এসব কারণে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়ের বেশিরভাগই এখন ব্যাংকিং চ্যানেলে আসছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর