× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আঁতাত করে জামিন / ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রুপাকে তলব

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
৩০ অক্টোবর ২০২০, শুক্রবার

ঘুষগ্রহণের মাধ্যমে আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জান্নাতুল ফেরদৌসী রুপাকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটির উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিমের সই করা এ সংক্রান্ত একটি চিঠি সুপ্রিম কোর্টে রুপার ঠিকানায় পাঠানো হয়। দুদক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সূত্র জানায়, ঠিকাদার জিকে শামীমকে গোপন জামিনের ব্যবস্থা করে ঘুষ নিয়ে আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে এই ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জান্নাতুল ফেরদৌসী রুপাকে আগামী ৪ঠা নভেম্বর দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে। এদিন তাকে জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টের কপি ও নথিপত্রসসহ যেতে অনুরোধ করা হয়েছে।
বুধবার দুদক থেকে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জান্নাতুল ফেরদৌসী রুপার বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ঘুষ নিয়ে জিকে শামীমসহ বিভিন্ন আসামির সঙ্গে আঁতাত করে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। এ সবের অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদকে তলব করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত,  চলতি বছরের ৪ ও ৬ই ফেব্রুয়ারি মাদক ও অস্ত্র মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পান জিকে শামীম।
তবে জামিনের বিষয়টি গোপন থাকায় গণমাধ্যমে আসেনি। অবশ্য ঘটনার এক মাস পর তা জানাজানি হলে সর্বত্র হইচই পড়ে যায়। পরে ৮ই মার্চ হাইকোর্ট বেঞ্চ আবার রিকল করে জামিন প্রত্যাহার করেন। জামিন ও জামিন প্রত্যাহার উভয় সময়ই রাষ্ট্রের পক্ষের দায়িত্ব পালন করেন জান্নাতুল ফেরদৌসী রুপা। তিনি শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন। তবে পরবর্তীতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রুপা জানান, নাম বিভ্রাটের কারণে জিকে শামীমকে জামিন দেয়া হয়। এ নিয়ে পরবর্তীতে নানা মহলে  আলোচনাও হয়। এক পর্যায়ে বিষয়টি নজরে আসে দুদকেরও। দুদকের একটি সূত্র জানায়, শেষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জান্নাতুল ফেরদৌসী রুপার সঙ্গে ঠিকাদার জিকে শামীমের মামলায় গোপন জামিনে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও আরো কিছু আসামিকে ঘুষ নিয়ে জামিনে সহায়তা করেন। এসব অভিযোগ আমলে নিয়েই দুদক অনুসন্ধান শুরু করে।  
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৮ই সেপ্টেম্বর ঢাকায় ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর শামীমকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের মামলা রয়েছে। গত বছরের ২১শে অক্টোবর তার বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দায়ের করা ওই মামলায় শামীমের বিরুদ্ধে ২৯৭ কোটি ৯ লাখ টাকা জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ থাকার অভিযোগ আনা হয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর