× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সিলেটে রায়হান হত্যা / ১৯ দিন পর গ্রেপ্তার এলাহী

প্রথম পাতা

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
৩০ অক্টোবর ২০২০, শুক্রবার

এএসআই আশেক এলাহী ধরেছিলেন সিলেটের রায়হানকে। নগরীর কাস্টগড় এলাকার সুইপার কলোনি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে এসেছিলেন ফাঁড়িতে। কী কারণে তিনি রায়হানকে ফাঁড়িতে ধরে নিয়ে এসেছিলেন সেটি এখনো অজানা। আটকের পর ফাঁড়িতে ধরে নিলেও ঊর্ধ্বতনদের কাছে প্রথমে অস্বীকার করেছিলেন আশেক এলাহী। পরে সিসিটিভি ফুটেজে সত্যতা মিললে তিনি স্বীকার করে। সেই আশেক এলাহীকে ঘটনার ১৯ দিন পর নিজেদের হেফাজতে নেয় আলোচিত এ মামলার তদন্ত সংস্থা পিবিআই। গতকাল বিকালে তাকে আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ডেও নিয়েছে। একই সঙ্গে ৫ দিনের রিমান্ডে থাকা কনস্টেবল হারুনুর রশীদকে আদালতে হাজির করে আরো ৩ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ইন্সপেক্টর মুহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন- আশেক এলাহীকে তারা বুধবার রাতেই মহানগর পুলিশ লাইন থেকে নিজেদের হেফাজতে নেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছে কোনো তথ্য মেলেনি। এ কারণে তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। আর ৫ দিনের রিমান্ডে থাকা হারুনুর রশীদও মুখ খোলেনি। এ কারণে তাকে আবারো রিমান্ডে নেয়া হলো। গত ১১ই অক্টোবর সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে ধরে নিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয় নগরীর নেহারীপাড়ার যুবক রায়হান আহমদকে। এতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে রায়হানকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পিবিআই পর্যায়ক্রমে এসআই টিটু চন্দ্র দাস, হারুনুর রশীদ ও সর্বশেষ বুধবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে এএসআই আশেক এলাহীকে। এখন পর্যন্ত আলোচিত এ হত্যা মামলার প্রধান সন্দেহভাজন আসামি পলাতক থাকা এসআই আকবর হোসেন ভুইয়াকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। পিবিআই ইতিমধ্যে দুই দফা রিমান্ডে নিলেও কনস্টেবল টিটু মুখ খোলেনি। এ কারণে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। রিমান্ডে থাকা অপর আসামি বরখাস্ত কনস্টেবল হারুনুর রশীদও মুখ খোলেনি। টানা ৫ দিনের জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেলেও এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততার বিষয়টি অস্বীকার করে হারুনুর রশীদ। এ কারণে ৫ দিনের রিমান্ড শেষে গতকাল সিলেটের আদালতে হাজির করা হয় হারুনুর রশীদকে। পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা হারুনের আরো ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করলে তাকে ৩ দিনের রিমান্ড দেয়া হয়। একই সঙ্গে সদ্য গ্রেপ্তার করা এএসআই আশেক এলাহীকেও আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড চান তদন্ত কর্মকর্তা। আদালত তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আশেক এলাহী ঘটনার দিন ঊর্ধ্বতনদের কাছে ঘটনা স্বীকার করেনি। বরং আকবরের কথার সঙ্গে একমত পোষণ করে জানিয়েছিল- রায়হানকে বন্দরবাজার এলাকার কাস্টঘর থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল। পরে যখন সিসিটিভি ফুটেজে সত্যতা মিলে তখন আশেক এলাহীও ঘটনার সত্যতা প্রকাশ করে। ছিনতাইয়ের ঘটনায় রায়হানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল সে দাবি করে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে- এএসআই এলাহী যুবক রায়হানকে আটকের পর নিজেই সিএনজি অটোরিক্সাযোগে নিয়ে এসেছিলেন বন্দরবাজার ফাঁড়িতে। রায়হানকে নিয়ে আসার পর বেশ কিছু সময় তিনি বেরিয়েও যান। ভোররাতে আবার ফাঁড়িতে ফিরে আসেন। ওই সময় আশেক এলাহীর সঙ্গে রায়হানের পিতা হাবিবউল্লাহর সাক্ষাতও হয়। আশেক এলাহীকে সঙ্গে নিয়ে ফজরের নামাজে যান রায়হানের পিতা। তবে- ফাঁড়ির ভেতরে নির্মমতার ব্যাপারে তিনি রায়হানের পিতাকে কোনো কিছুই অবগত করেননি। কিংবা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও বিষয়টি জানাননি। বরং এসআই আকবরের সাজানো নাটকের মতো তিনিও ঘটনাটিকে আড়াল করার চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে ঊর্ধ্বতনদের তদন্তে যখন তার সম্পৃক্তা মিলে তখনই তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের লাইনে সংযুক্ত করা হয়। এদিকে- সিলেটের আলোচিত এ হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন- এএসআই আশেক এলাহী ও কনস্টেবল হারুনুর রশীদকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করতে এক সঙ্গে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর