× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রয়টার্সের প্রতিবেদন / ট্রাম্প, বাইডেনের পতন চায় রাশিয়া!

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৩ বছর আগে) অক্টোবর ৩০, ২০২০, শুক্রবার, ১২:১১ অপরাহ্ন

চার বছর আগের কথা। প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার পর তা উদযাপন করতে রাশিয়ার পার্লামেন্টের ভিতর একটি শ্যাম্পেন পার্টি দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একজন ঘনিষ্ঠ মিত্র ভ্লাদিমির ঝিরিনভস্কি। এবার নির্বাচনে সেই ট্রাম্প ও তার প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেট জো বাইডেন মুখোমুখি। এবারও কি ট্রাম্পের পক্ষ নেবে রাশিয়া অথবা তাদের পছন্দের কোনো প্রার্থী আছে? এমন প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক। কিন্তু এই সপ্তাহান্তে ঝিরিনভস্কি বলেছেন, তার তরুণ নেতাকর্মীরা এবার মস্কোতে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের বাইরে অবস্থান নেবে এবং তারা নির্বাচনকে সামনে রেখে স্লোগান দেবে ‘বাইডেন ও ট্রাম্পের পতন হোক!’ রাশিয়ার ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রধান ঝিরিনভস্কি। তিনি বলেছেন, আমাদের জন্য কিছুই করেননি তিনি (ট্রাম্প)। তবু রাশিয়ানরা যেমন বলে থাকেন, দু’জন ইভিলের (দুষ্টব্যক্তি) মধ্যে কম দুষ্টকেই তোমাকে বেছে নিতে হবে। এক্ষেত্রে জো বাইডেন বেশিই দুষ্ট।

এখানে উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে যখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নির্বাচিত হয়েছিলেন তখন রাশিয়ান পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ সেই বিজয়কে হাততালি দিয়ে উদযাপন করেছিল। পুতিনের প্রতি তার প্রশংসা ও উন্নত সম্পর্কের প্রত্যাশা করেছিল রাশিয়ার পার্লামেন্ট। তারপর চার বছর পেরিয়ে গেছে। সেই উচ্ছ্বাসও উবে গেছে কর্পুরের মতো। এটা নিশ্চিত যে, ট্রাম্প যেভাবে রাজনীতিকে মেরুকরণ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে তাকে রাশিয়ার এলিট শ্রেণির কিছু অংশ স্বাগত জানিয়েছে। একজন রাশিয়ান কর্মকর্তা বলেন, তারা (মার্কিনিরা) নিজেদের মধ্যে যখন বেশি প্রতিযোগিতায় লিপ্ত, তখন তারা আমাদের দিকে পূর্ণাঙ্গ মনোযোগ দেয়ার সুযোগ পায়নি। আমরাও তেমনটা চাই না। কারণ অন্য কেউ আমাদের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাক এটা আমরা চাই না।
তবে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উন্নত সম্পর্কের যে আশা করেছিল ক্রেমলিন তা কখনো বাস্তবায়িত হয়নি। পক্ষান্তরে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন ও অন্যান্য ক্ষেত্রে রাশিয়াকে অভিযুক্ত করে অবরোধ দিয়েছে ওয়াশিংটন। তারা গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঘনিষ্ঠ একটি থিংকট্যাংক হলো রাশিয়ান ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিল। এর প্রধান হলেন আন্দ্রেই কোরতুনভ। তিনি বলেছেন, ট্রাম্পের অধীনে মৌলিকভাবে সম্পর্কের সব স্তম্ভকেই ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। ২০১৮ সালে বৃটেনে রাশিয়ান একজন এজেন্টকে বিষপ্রয়োগের অভিযোগে রাশিয়াকে বাদ রাখার আহ্বান জানিয়েছিল রাশিয়া। সেই কথা উল্লেখ করে কোরতুনভ বলেছেন, আমাদের মধ্যে একটি কূটনৈতিক লড়াই ছিল। দুটি দেশের দূতাবাস যেন অবরুদ্ধ দুর্গে পরিণত হয়েছিল। সেখানে কূটনীতির পরিবর্তে দেয়া হয়েছে অবরোধ।
ওদিকে যুক্তরাষ্ট্রে যিনিই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হোন না কেন তার সঙ্গেই কাজ করার আশা প্রকাশ করেছে ক্রেমলিন। সম্প্রতি পুতিন তাই ট্রাম্প ও বাইডেন দু’জনেরই প্রশংসা করেছেন, সমালোচনা করেছেন। রাশিয়া সরকারের কিছু কর্মকর্তা ব্যক্তিগতভাবে বলেছেন, ট্রাম্প বিজয়ী হলে তাতে সম্পর্ক উন্নত হওয়ার ক্ষেত্রে শূন্য প্রত্যাশা করছেন তারা। আবার তারা রাশিয়া ইস্যুতে বাইডেনকেও কঠোর হিসেবে দেখছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর