চঞ্চল চৌধুরী। অভিনয় গুণে দর্শকদের মন জয় করেছেন অনেক আগেই। ছোটপর্দার পর 'মনপুরা', 'আয়নাবাজি', 'দেবী'র মতো সিনেমা দিয়ে রীতিমতো বাজিমাত করেছেন তিনি। স্বীকৃতি স্বরুপ দুই বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। ক্যারিয়ারে অসংখ্য নাটকে অভিনয় করলেও বর্তমান অবস্থা নিয়ে হতাশ হওয়ায় ছোটপর্দার কাজ কমিয়ে দিয়েছেন। কেন নাটকে আগের তুলনায় কম কাজ করছেন? উত্তরে এই অভিনেতা বলেন, টেলিভিশন নাটকের বাজে অবস্থা। বাজেট খুব কম। এখন ভালো নাটক খুব কম হচ্ছে।
কম বাজেটের নাটক করলে কাজে অনেক প্রেসার পড়ে। একদিনে অনেক দৃশ্যের কাজ করতে হয়। নির্মাতারা ভালো স্ক্রিপ্ট এবং শিল্পী নিয়ে কাজ করতে পারছেন না। ফলে নাটকের মান কমে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে কাজ কারাটা কঠিন হয়ে গেছে। এসব কারণে নাটকে কাজ করতে ভয় পাই। মানসিক অশান্তি নিয়ে তো কাজ করা যায় না। সামনের পরিকল্পনা তাহলে কী? চঞ্চল বলেন, ভালো বাজেট ছাড়া খণ্ড নাটক বা টেলিছবিতে কাজ করবো না। এই চিন্তা আগেই করেছিলাম। তবে বাস্তবায়ন করতে পারিনি। হঠাৎ করে তো চাইলেই কাজ কমিয়ে দেয়া যায় না। করোনার কারণে দীর্ঘদিন অবসরে ছিলাম। সেই সময়ই মূলত কাজ কম করার সিদ্ধান্তটা নিলাম। করোনার কারণে আর্থিকভাবেও সংকটে পড়েছে শিল্পীরা উল্লেখ করে এই অভিনেতা আরও বলেন, সবচেয়ে দুঃসময় পার করেছি আমরা শিল্পীরা। আয় বন্ধ ছিল। অনেক সংকটের মধ্যে পড়তে হয়েছে। এমনকি এখন কাজ শুরু হলেও করোনার দোহাই দিয়ে এজেন্সি-প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো সম্মানী কমিয়ে দিয়েছে। ব্যাপারটা খুবই দুঃখজনক। এদিকে, ‘তকদির’ নামে একটি ওয়েব সিরিজে অভিনয় করেছেন চঞ্চল। এটি আন্তর্জাতিক প্লাটফর্ম হৈচৈ-এ প্রচার হবে। সিরিজটি নির্মাণ করেছেন সৈয়দ আহমেদ শাওকি। এতে তাকে নাম ভূমিকায় দেখা যাবে। এই বিষয়ে চঞ্চল বলেন, ‘তকদির’র গল্প খুবই পরিচ্ছন্ন। গল্প এবং মেকিং মিলিয়ে কাজটি করে অত্যন্ত সন্তুষ্ট। এদিকে সম্প্রতি অভিনেতা মোশাররফ করিমের সঙ্গে বিজ্ঞাপনের মডেল হিসেবে কাজ করেছেন চঞ্চল। মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর নির্দেশনায় সর্বশেষ ‘টেলিভিশন’ সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করেছিলেন তারা। এছাড়া এ অভিনেতা শেষ করেছেন অমিতাভ রেজার নির্দেশনায় আরেকটি বিজ্ঞাপনের কাজ। মুক্তির অপক্ষোয় আছে তার অভিনীত ‘পাপ পূণ্য’ এবং মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত ‘হাওয়া’ চলচ্চিত্র দুটি।