× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নিভৃতচারী কবি সুলতানা ফিরদৌসি

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
৩১ অক্টোবর ২০২০, শনিবার

প্রচারবিমুখ এক কবি সুলতানা ফিরদৌসি। তিনি শুধু তার সৃষ্টিকেই মানুষের সামনে তুলে ধরতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। উদ্যমী, সচেতন এবং সৃষ্টিশীল এক সত্ত্বা তিনি। এ পর্যন্ত ছয়টি বই প্রকাশ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে উপন্যাস, ছোট গল্প সমগ্র, আর কবিতার বই। “তৃতীয় পক্ষ” তার প্রথম উপন্যাস; যা বের হয় ১৯৯৯ সালে। “কীট ও দ্রোণপুষ্প” তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ; এটি প্রকাশিত হয় ১৯৯৭ সালে বাংলা একাডেমি থেকে। এছাড়া তিনি প্রকাশ করেছেন অনুদিত কাব্য সংকলন “এ গার্ল হ্যাজ নো নেইম”।
“বৃক্ষেরা ভিজে যায়” এবং “অরণ্যে ফিরে আসি” তার দুইটি কবিতার বই। “এবার ঘরে ফেরার পালা” তার একমাত্র ছোট গল্প সংকলন।

ফিরদৌসি গবেষণাধর্মী কাজেও অংশ নিয়েছেন। বাংলা একাডেমির “ইয়াং রাইটারস প্রজেক্ট, ঢাকা” একটি গবেষণা কাজে অংশ নেন তিনি ১৯৯৫ সালে। এছাড়া কাজী নজরুল ইসলামের কাব্যশৈলী নিয়ে গবেষণা করেন ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে।

সুলতানা ফিরদৌসির জন্ম কুষ্টিয়ায়, ১৯৭৪ সালের ১১ই ডিসেম্বরে। তার বাবা কর্মরত ছিলেন এলজিইডিতে। সরকারি চাকরি হওয়ায় বদলি হওয়াটাও ছিল জীবনের অংশ। ফিরদৌসির জন্মের সময় তার পরিবার ছিল কুষ্টিয়াতে। একটি মধ্যবিত্ত সংস্কৃতিমনা পরিবারে বেড়ে উঠেছেন ফিরদৌসি। ছোটবেলা থেকে তিনি আর তার ভাই বোনদের উৎসাহিত করা হয় সংস্কৃতি চর্চায়। তিনি শুরু করেন কবিতা লেখা। একাত্তরের রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা বাবার কাছ থেকে শিখেছেন দেশকে ভালোবাসতে। বড় শহরের বাইরে মফস্বল শহর ও জেলায় বেড়ে উঠেছেন তিনি। দেখেছেন গ্রাম বাংলার সৌন্দর্য। সেই সাথে দেখেছেন শাশ্বত সমাজের অবহেলিত নারীদের। সবসময় চেয়েছেন নারীদের পক্ষে কথা বলতে, সমতার কথা প্রচার করতে, নারীদের স্বনির্ভর করতে। তার কবিতায় এ নারীবাদী চিন্তাই ফুটে উঠে। ফিরদৌসি নিজেকেও নারীবাদীই বলেন।

ফিরদৌসি যুক্ত আছেন একাধিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে। বাংলা একাডেমি, কালী, গাঁথা, বঙ্গীয় প্রতিটি সংগঠনের সদস্য হিসেবে কাজ করে আসছেন বহু বছর যাবত। এছাড়া তিনি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথেও যুক্ত। পেশাগত জীবনেও তিনি সামাজিক কর্মকা- নিয়ে কাজ করে থাকেন। সোশিও-ইকোনমিস্ট হিসেবে জনগণের সামাজিক উন্নয়ন, সাহায্য সহায়তা, নাগরিক সুবিধা এসব তার কাজের অন্তর্গত।

তিনি কাব্যচর্চায় অবদানের জন্য ভূষিত হয়েছেন একাধিক পুরষ্কারে। রূপসী বাঙলা পদক প্রাপ্ত হন বাঙালি কৃষ্টি ও সাংস্কৃতিক বাতায়ন এ্যাসোসিয়েশন দ্বারা। ২০১৩ সালে তিনি পদকটি পান। ২০১৯ সালে তিনি পান অগ্নিবীণা পদক। ভারতের সোনাজুরি কবিতা উৎসব, ২০১৯ এ তাকে এই বিরল সম্মাননা প্রদান করা হয়। আয়োজনে ছিল কলকাতায় অবস্থিত কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতন। ২০০৮ সালে ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাহিত্য প্রতিযোগিতায় বিচারক প্যানেলে নিয়োজিত ছিলেন ফিরদৌসি। এছাড়া ২০১৮ সালে ভারতীয় বাংলা একাডেমি আয়োজিত আধুনিক কবিতা প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর