× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

থ্যাংক ইউ ট্রাম্প

মত-মতান্তর

শামীমুল হক
৭ নভেম্বর ২০২০, শনিবার

যতই সময় যাচ্ছে একা হয়ে পড়ছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন মুল্লুকের শক্তিধর এই প্রেসিডেন্ট নিজেও তা ভালোভাবেই বুঝতে পারছেন। তাই তো তিনি শেষ মুহূর্তে এসেও প্রতিরোধী মনোভাব নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। টেনে এনেছেন অবৈধ ব্যালটের বিষয়। তার ভাষায় অবৈধ ব্যালট গণনা করা উচিত নয়। আর এ বিষয়টি নিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, লড়াই কখনো ছাড়বো না। ট্রাম্পের এ লড়াই যখন চলছে তখন তাবৎ দুনিয়া নিশ্চিত হয়ে বসে আছেন জো বাইডেনই হতে যাচ্ছেন আগামী মার্কিন প্রেসিডেন্ট। মাঝখানে জল ঘোলা করা হচ্ছে হোয়াইট হাউসকে ঘিরে।
ডিজিটাল বিশ্বে সেকেন্ডে সেকেন্ডে খবর ছড়িয়ে পড়ছে। মার্কিনিরাও প্রস্তুত বাইডেনকে স্বাগত জানাতে। ইতিমধ্যে বাইডেনের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। হোয়াইট হাউসের দরজায় কড়া নাড়ছে বাইডেন। এখন পর্যন্ত ফলাফল তাই বলছে। কিন্তু গণনা ডিলে করে কি ফলাফল পাল্টানো যাবে? না। তারপরও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ইচ্ছায় তা হচ্ছে। জর্জিয়ায় ভোট পুনঃগণনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এতেও কিন্তু লাভ হচ্ছে না ট্রাম্পের। কারণ বাকি সব রাজ্যেই ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেন এগিয়ে। রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পের নিশ্চিত হার ঠেকানোর কোনো পথ আর খোলা নেই। হোয়াইট হাউস তাকে ছাড়তেই হবে। কিন্তু আলোচনায় থাকা ট্রাম্প হয়তো যাবার বেলায়ও আলোচনায় থাকতে চান। তাই আশ্রয় নিচ্ছেন নানা বাহানার। আর আমেরিকার ইতিহাসে আরেক ইতিহাস তৈরি করছেন। যেখানে তিনি বাইডেনকে অভিনন্দন জানানোর কথা সেখানে তিনি উল্টো সুরে কথা বলছেন। এমন নজির মার্কিন ইতিহাসে নেই। কেউ কেউ অবশ্য বলছেন, তিনিও অভিনন্দন জানাবেন, তবে তা জল ঘোলা করে। এমনিতেই ২০২০-এর মার্কিন নির্বাচন ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নিয়েছে।

আসলে দীর্ঘদিন হোয়াইট হাউসে বসবাস করায় এর প্রতি আলাদা ভলোবাসা জন্মেছে। মায়া জন্মেছে। বিশেষ করে ট্রাম্প সাদা বাড়িকে নিজের মনে করে নিয়েছেন। তাই এটা ছেড়ে যেতে মন চাইছে না। গতকাল মেসেঞ্জারে ফেসবুকের একটি লিংক পাঠিয়েছেন এক পরিচিত জন। তাতে দেখা যায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শিশুদের সঙ্গে খেলা করছেন। তার এক সহকারী তাকে সেখান থেকে বের করে নেয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। এক পর্যায়ে ট্রাম্প ফ্লোরে শুয়ে পড়েন। চিৎকার করতে থাকেন। সেখান থেকে না যাওয়ার বৃথা চেষ্টা করেন। সহকারী তাকে টেনে হিঁচড়ে হাউস থেকে বের করেন। তখনও ট্রাম্প ফ্লোরে শুয়ে ছটফট করছিলেন। অনেক কষ্টে বের করার পর সহকারী তাকে ‘থ্যাংক ইউ’ বলতে ভুলেননি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর