নান্দিগ্রামে সূর্যোদয় দিবসে তেখালিতে দাদার অনুগামীদের ডাকা সভায় কিংবা গোকুলপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকা সভায় শুভেন্দু অধিকারী কিংবা ফিরহাদ হাকিমের কণ্ঠে যতটা গর্জন শোনার আশা এবং আশংকা ছিল তার এতটুকু বর্ষণ হল না। তির্যক, মৃদু আক্রমণ ছিল। কিন্তু, সেই কামড়েও তেমন জোর ছিলনা। তেখালির সভায় শুভেন্দু তাঁর বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে একটি কথাও বলেননি। একবারের জন্যও মমতা বন্দোপাধ্যায় অথবা তৃণমূল কংগ্রেসের নাম নেননি। বরং তিনি বলেন মাঠে লোক না ধরায় তিনি দুঃখিত। কাউকে বিরিয়ানি কিংবা ডিম ভাত না খাওয়াতে পেরে শুধু জল দেওয়ার জন্যে তির্যক ভঙ্গিতে ক্ষমা চান শুভেন্দু। ফিরহাদ হাকিম গোকুলপুরের সভায় বলেন, সকালের সভায় ডাকলে আমি আসতাম।
তবে, তিনিও একবারও শুভেন্দুর নাম নেননি। ভাষণে তিনি বলেন গান্ধীজি ছাড়া যেমন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম অসম্পূর্ণ তেমন মমতা বন্দোপাধ্যায় ছাড়া নন্দীগ্রাম আন্দোলন হতোনা। নন্দীগ্রাম আন্দোলন কোনও ব্যাক্তির নয়। ফিরহাদ আরও বলেন তৃণমূলে কেউ লিফটে করে ওপরে ওঠেনি। সিঁড়ি দিয়ে উঠেছে আর সেই সিঁড়ি তৈরি করে দিয়েছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। এই সভায় উপস্থিত আর এক মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু শুভেন্দুর নাম করে বলেন, আমার অত্যন্ত স্নেহভাজন শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে গেলে সবাই মিলে তাঁকে আটকে দেবে।