বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কাঁথির শান্তিকুঞ্জ এর সামনে একটি এস ইউ ভি গাড়ি দাঁড়ালো। গাড়ি থেকে নামলেন তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট স্ট্রাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোর। শান্তিকুঞ্জ কাদের বাড়ি? কাঁথির বিখ্যাত অধিকারী পরিবারের। শিশির, শুভেন্দু, দিব্যেন্দুদের বাড়ি।
শুভেন্দু, দিব্যেন্দু বাড়ি ছিলেন না। শিশির অধিকারীর সঙ্গে একঘণ্টা কথা বলে চলে যান প্রশান্ত। দু’জনের আলোচনা অপ্রকাশ্যেই। প্রশান্ত কিশোর কি কোনও সন্ধিপ্রস্তাব নিয়ে এসেছিলেন?
ভোটের আগে শুভেন্দু অধিকারী ক্রমশ গলার কাঁটা হচ্ছেন মমতা বন্দোপাধ্যায় এর।
মমতার পর দলে একমাত্র ক্রাউড পুলার শুভেন্দু। বিদ্রোহী শুভেন্দু যেভাবে জনসংযোগ বাড়াচ্ছেন, তাতে এটা স্পষ্ট তিনি বড় কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন। বৃহস্পতিবারও ঘটালে বিজয়া সম্মিলনীতে তিনি উপস্থিত ছিলেন। নাম না করে মমতা সহযোগীদের শুভেন্দু আক্রমণ করেই চলেছেন। আবার শুভেন্দুর নাম না করে মমতা সহযোগীরা শুভেন্দুকে লাগামহীন আক্রমণ করছেন। দলীয় সাংসদ কল্যাণ বন্দোপাধ্যায় তো নাম না করে বলেছেন, মমতা না থাকলে আলু বেচতিস।
মমতা নিজে শুভেন্দু সম্পর্কে অবস্থান স্পষ্ট না করায় দলে ক্ষোভ বাড়ছে। এই অবস্থায় প্রশান্ত কিশোরকে পাঠানো মমতার একটা চাল বলেই ধরে নিচ্ছে রাজনৈতিক মহল। তথ্যাভিজ্ঞ মহল বলছে, শুভেন্দুর বিজেপিতে যোগদানের সম্ভাবনা ক্ষীণ। বরং শুভেন্দু আলাদা দল গড়ে ভোটে লড়তে পারেন। এ ব্যাপারে আইনগত পরামর্শ নাকি নেয়া হচ্ছে। যদি তাই হয় তাহলে একুশের ভোটের সমীকরণ যে একদম পাল্টে যাবে তা বলাই বাহুল্য।