বৃহস্পতিবার দিঘার রামনগরে শুভেন্দু অধিকারীর সভার দিকে নজর ছিল তৃণমূল-বিজেপিসহ সব রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। দল ছাড়ার কোনও ঘোষণা শুভেন্দু করেন কিনা তার দিকে নজর ছিল সবার। দল ছাড়ার কোনও সিদ্ধান্ততো শুভেন্দু করলেনই না। বরং, বললেন তিনি এখনো একটি দলের প্রাথমিক সদস্য। মমতা বন্দোপাধ্যায় তাঁকে দল ছেড়ে চলে যেতে বলেননি, তিনিও মমতা বন্দোপাধ্যায়কে বলেননি তিনি চলে যাচ্ছেন। তবে, নীতি - আদর্শ বিসর্জন দিয়ে তিনি দল করবেন না। শুভেন্দুর এদিনের কথায় স্পষ্ট, মমতা বন্দোপাধ্যায় এর প্রতি তাঁর কোনও ক্ষোভ নেই। তবে, দলের কারও কারও প্রতি আছে। নাম না করে তিনি মমতা মন্ত্রিসভার সিনিয়র সদস্য ফিরহাদ হাকিমকে একহাত নেন। দলের কেউ কেউ তাঁকে যে কুৎসিত আক্রমণ করছেন তারও উল্লেখ করেন। শুভেন্দুর সঙ্গে যে দুই সাংসদ মধ্যস্থতা করছেন তাঁদের একজন সৌগত রায় শুভেন্দুর বক্ত্যব্যকে স্বাগত জানিয়েছেন। অন্য সাংসদ সুদীপ বন্দোপাধ্যায় কোনও মন্তব্য এখনো করেননি। এই দুই সংসদের সঙ্গে পৃথক বৈঠকে শুভেন্দু বলেছেন, অভিষেক বন্দোপাধ্যায় ও প্রশান্ত কিশোর দলের ওপর দিয়ে হাঁটছেন। এঁদের সংযত না করলে তিনি কি ভাবে কাজ করবেন? মমতা বন্দোপাধ্যায় এর এখন ঢেঁকি গেলার অবস্থা। একদিকে অভিষেক - পি কে অন্যদিকে শুভেন্দু। মমতা শ্যাম রাখবেন না কুল রাখবেন? ।