× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সংগীতাঙ্গন /ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা

বিনোদন

ফয়সাল রাব্বিকীন
২৩ নভেম্বর ২০২০, সোমবার

সংগীতের অবস্থা এমনিতেই ভালো যাচ্ছে না কয়েক বছর যাবৎ। তার ওপর চলতি বছর করোনা মহামারির কারণে একেবারে থমকে আছে এ অঙ্গন। বিশেষ করে শিল্পী-মিউজিশিয়ানরা ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন স্টেজ শো বন্ধ থাকায়। অনেকে ঢাকা শহরে টিকতে না পেরে চলে গেছেন গ্রামে। সেখানেই পেশা বদলে অন্য কাজ করছেন। বিষয়টি দুঃখজনক হলেও এটাই বাস্তবতা। অন্যদিকে অন্য বছরগুলোর তুলনায় এ বছর গান প্রকাশের সংখ্যাও কমেছে উল্লেখযোগ্যহারে। বিশেষ করে বছরের পহেলা বৈশাখ ও রোজার ঈদে গান প্রকাশ ছিল প্রায় বন্ধ।
কোরবানির ঈদে কিছু গান প্রকাশ হয়েছে। আর ঈদের পর থেকে অবস্থা আরো নাজুক। কোনো প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানই নতুন গানে বিনিয়োগ সেভাবে করেনি। এদিকে এরইমধ্যে চলে এসেছে শীত মৌসুম। করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ কতটুকু প্রভাব বিস্তার করবে তার ওপর নির্ভর করছে সবকিছু। তবে আশার কথা হলো, বছরের শেষে এসে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে সংগীতাঙ্গন। চলতি মাসে স্টেজ শো সীমিত পরিসরে শুরু হয়েছে। তবে আউটডোরে নয়, ইনডোরে দূরত্ব ও সচেতনতা বজায় রেখে শো করার অনুমতি রয়েছে। কিন্তু শিল্পী ও মিউজিশিয়ানরা চাইছেন, স্টেজ শো উন্মুক্ত করে দেয়া হোক। কারণ সেটা না হলে আরো বড় ক্ষতির মুখে পড়বেন তারা। অন্যদিকে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোও চাচ্ছে নতুন বছরে নতুন গানের মাধ্যমে যেন ঘুরে দাঁড়াতে পারে ইন্ডাস্ট্রি। তারই লক্ষ্যে তারকাশিল্পীদের গান তৈরির প্রস্তুতি এরইমধ্যে নিয়েছেন বিভিন্ন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। এ বিষয়ে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর বলেন, করোনার কারণে শিল্পী-মিউজিশিয়ানরা ভালো নেই। বিশেষ করে যারা স্টেজনির্ভর তাদের অবস্থা বেশি খারাপ। সত্যি বলতে কম বেশি সবাই আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। অনেকে তো অনেক আগেই গ্রামে চলে গেছেন শহরে টিকতে না পেরে। তবে ধীরে ধীরে দেখছি অল্প পরিসরে স্টেজ শুরু হচ্ছে। এটা আশার খবর। কারণ সবই তো হচ্ছে। তাহলে সচেতন থেকে স্টেজ শো নয় কেন! আর নতুন গানও আশা করছি নতুন বছরে অনেক হবে। আমি বিশ্বাস করি নতুন উদ্যমে আমরা সবাই মিলে নতুন বছরটি শুরু করতে পারবো। এদিকে বিষয়টি নিয়ে চলতি প্রজন্মের জনপ্রিয় সংগীত তারকা ইমরান বলেন, এ বছরটি এভাবেই গেল। করোনাভাইরাসের কারণে অনেক পরিকল্পনাই বাস্তবায়িত হয়নি। তবে নতুন বছরটি আমরা শিল্পী ও সংশ্লিষ্ট সবাই চাই খুব ভালো হোক সংগীতের জন্য। স্টেজ শো শুরু হচ্ছে ধীরে ধীরে। আর নতুন বছরের শুরুতেই গান নিয়ে নানা পরিকল্পনা রয়েছে আমার। হয়তো অন্য শিল্পীদেরও তা আছে। আমার বিশ্বাস নতুন বছরে ঘুরে দাঁড়াতে পারবো আমরা। জনপ্রিয় ফোক সংগীতশিল্পী সালমা এ বিষয়ে বলেন, সব শুরু হয়ে গেছে, তবে স্টেজ কেন নয়। আমি মনে করি সচেতন থেকেই স্টেজ শো আয়োজন সম্ভব। এখন ইনডোরে শো হচ্ছে। কিন্তু শিল্পী ও মিউজিশিয়ানদের টিকে থাকতে হলে আউটডোরের শো শুরুটাও প্রয়োজন। কারণ এমনিতেই আমরা অনেক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে গেছি। এটা আরো দীর্ঘায়িত হলে টিকে থাকা কঠিন হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর