× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ব্যাংকে সাইবার হামলার আশঙ্কায় সতর্কতা জারি অর্থ মন্ত্রণালয়ের

শেষের পাতা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
২৩ নভেম্বর ২০২০, সোমবার

বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর ওপর নতুন করে সাইবার হামলার আশঙ্কায় সতর্কতা জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এ বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়ে সতর্কতার কথা জানানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতেই অনলাইন ব্যাংকিং ব্যবস্থায় নিরাপত্তা বাড়িয়েছে ব্যাংকগুলো। ইতিমধ্যেই ব্যাংকগুলো শনিবার রাত থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত এটিএম বুথ বন্ধ করে দিয়েছে। গ্রাহকদের মোবাইলে এসএমএস দিয়ে এ তথ্য জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, উত্তর কোরিয়াভিত্তিক হ্যাকার গ্রুপ ‘বিগল বয়েজ’ ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে অর্থ চুরির সঙ্গে জড়িত ছিল। তারা আবার বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলন ও সুইফট নেটওয়ার্কে হ্যাকিং করতে পারে। এর পরিপ্রেক্ষিতে অনলাইন ব্যাংকিং ব্যবস্থায় নিরাপত্তা বাড়িয়েছে ব্যাংকগুলো।
রাষ্ট্রমালিকানাধীন রূপালী ব্যাংক রাত ১১টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত এটিএম বুথ বন্ধ করে দিয়েছে। ব্যাংক লেনদেনে নেয়া হয়েছে বিশেষ সতর্কতা।
অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শামস- উল ইসলাম বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পাওয়ার পরই আমরা নিরাপত্তা বাড়িয়েছি। প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এর আগে গত আগস্টে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর ওপর নতুন করে সাইবার হামলার আশঙ্কায় সতর্কতা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। উত্তর কোরিয়ার একটি হ্যাকার গ্রুপ এই হামলা চালাতে পারে বলে ব্যাংকগুলোকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। এর ফলে অনেক ব্যাংক অনলাইন ব্যাংকিং সেবা সীমিত করে। আবার কোনো ব্যাংক অন্য ব্যাংকের গ্রাহকদের এটিএম থেকে টাকা উত্তোলন বন্ধ করে দেয়।
জানা গেছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে আগস্ট মাসের মাঝামাঝিতে তথ্য আসে, ‘বিগল বয়েজ’ নামে একটি হ্যাকার গ্রুপ ব্যাংকগুলোতে সাইবার হামলা চালাতে পারে। গ্রুপটি উত্তর কোরিয়ার বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৭শে আগস্ট ব্যাংকগুলোকে সতর্ক থাকার জন্য চিঠি দেয়। চিঠি পাওয়ার পর সব ব্যাংকই বিশেষ ব্যবস্থা নেয়। তবে কোনো হামলার খবর পাওয়া যায়নি। এই গ্রুপই নতুন করে হামলা চালাতে পারে বলে তথ্য এসেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই ব্যবস্থা নিয়েছে ব্যাংকগুলো।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর