মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের সৈয়দপুর এলাকার পানি নিস্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণ কাজে ব্যাপক নিয়মের অভিযোগ ওঠেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ প্রকৌশলীর অবহেলার ও নীরবতার কারণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম করছে। যার কারণে ওই কাজের গুণগত মান ও স্থায়ীত্ব নিয়েও নানা প্রশ্ন তুলছেন তারা।
সূত্রে যানা যায়, ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে রাজানগর ইউনিয়নের সৈয়দপুর এলাকার ২নং ওয়ার্ডের জলাবদ্ধতা নিরসন করতে ড্রেন নির্মাণ কাজ হাতে নেয়া হয়। স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল বিভাগের অধীনে এই কাজে বরাদ্দ প্রায় ২৭ লাখ টাকা। যার দৈর্ঘ্য মাত্র ২২০ মিটার এবং প্রস্থ ৩ ফুট ও ৬ ইঞ্চির ঢালাই। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খান ট্রেডার্স এই ড্রেন নির্মাণ কাজটি করছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও প্রকৌশলী এলাকার গরিব লোকের ঘর ভাঙলেও বিত্তশালীদের কাছে টাকা নিয়ে তাদের বাড়ির বাহিরে দেয়ালও ভাঙেনি কিন্তু সরকারি পিচ ঢালাই রাস্তা কেটে রাস্তা ছোট করেছে। রাতের আঁধারে ভেকু মেশিন দিয়ে রাস্তার পিচ ও মাটি কেটেছে তারা। ময়লা ও মাটি ভালভাবে পরিস্কার না করেই দিচ্ছে ঢালাই। কোথাও তারা প্রস্থে দিচ্ছে ৩ ফুট আবার কোথাও দিচ্ছে ২ ফুট ঢালাই।
কোথাও দিচ্ছে ৬ ইঞ্চির আবার কোথাও দিচ্ছে ৩ ইঞ্চির। তাদের যা ইচ্ছে হচ্ছে তাই করছে। ঠিকাদার ও ইঞ্জিনিয়ার টাকা খেয়ে বিত্তশালীদের জায়গা বাঁচিয়ে সরকারি রাস্তা কেটে ছোট করছে।
স্থানীয় আলী নেওয়জ বলেন, আমাদের এলাকায় একটি সরকারি খাদ্য গুদাম রয়েছে। সেখানে প্রতিনিয়তই বড় বড় ট্রাক আসে। ড্রেনের কারণে রাস্তা কেটে ছোট করছে ঠিকাদার এতে উপকারের চেয়ে সমস্যাই বেশি হবে। তারা ড্রেনের ওয়ালের পাশে বালুর বদলে মাটি দিয়েই ভরাট করছে তাতে ওয়াল দ্রুত ড্যামেজ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
রাজানগর ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন হাদী বলেন, এই প্রজেক্টটা আমার দেয়া না এটা এমপি সাহেবর প্রজেক্ট। তারা আমাকে এখানে সম্পৃক্ত করেনি এবং আমার কোনো মতামতও নেয়নি। তবে তাদের কাজের অনেক অনিয়ম আমি রাস্তা দিয়ে যাওয়া-আসার সময় দেখেছি, আর তাদের কাজের মান নিয়ে আমি মোটেও সন্তুষ্ট নই।
ঠিকাদার মো. নাদিম বলেন, আমাদের কাজে কোনো অনিয়ম নেই। আমরা উপজেলা প্রকৌশলীর নির্দেশনা ও লে-আউট মেনেই সব কাজ করছি। আমাদের সাব কন্ট্রাক্টর একটি দেয়ালের পাশে আমাদের না জানিয়েই কিছু অংশ ঢালাই দিয়েছে, এখন ওয়ালের সাইডের কাজ কাজ বন্ধ আছে। আমরা উপজেলা প্রকৌশলীর সিদ্ধান্ত পেলেই ওয়ালের সাইডের কাজটি করবো আর কারেন্টের খুঁটিগুলো সরানোর ব্যাপারে পল্লীবিদ্যুতের সঙ্গে কথা হয়েছে কয়েকদিনের মধ্যেই খুঁটি তারা সরিয়ে দিবে।
উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী (দায়িত্বপ্রাপ্ত) মো. মোকারম হোসেন বলেন, আমাদের নির্দেশ অমান্য করেই ঠিকাদার ওয়ালের সাইডের বেজ ঢালাই দিয়েছে। এখন সেখানে কাজ বন্ধ রয়েছে। ওয়াল ভাঙার পরেই সেখানে কাজ করা হবে। ওয়াল ভাঙার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।