× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ডিসেম্বরেই করোনাভাইরাসের টিকা পাবেন মার্কিনিরা

দেশ বিদেশ

মানবজমিন ডেস্ক
২৪ নভেম্বর ২০২০, মঙ্গলবার

ডিসেম্বরের প্রথম দিকেই করোনাভাইরাসের টিকা পাবে মার্কিনিরা। এর আগে ফাইজার ও বায়োএনটেক তাদের টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন চেয়ে আবেদন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) কাছে। এর প্রেক্ষিতে ১০ই ডিসেম্বর এফডিএ’র করোনা বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির বিশেষ বৈঠক বসার কথা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ওই বৈঠকেই ফাইজার ও বায়োএনটেকের টিকা জরুরিভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমোদন দেয়া হতে পারে। এর প্রেক্ষিতে রোববার হোয়াইট হাউসের করোনাভাইরাস বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা ড. মোনসেফ স্লাউনি আশার বাণী শুনিয়েছেন মার্কিনিদের। তিনি বলেছেন, ওই অনুমোদন দেয়ার ফলে ১১ই ডিসেম্বর বা ১২ই ডিসেম্বর প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে এই টিকার সরবরাহ দেয়া হবে। অনুমোদন সাপেক্ষে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা পৌঁছে যাবে। অনুমোদনের দু’দিনের মধ্যে অর্থাৎ ১১ বা ১২ই ডিসেম্বর এই টিকা পৌঁছে যাবে।
তিনি সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রেই প্রথম রোগ প্রতিরোধী এই টিকা পাবেন মার্কিনিরা। সব রাজ্যে তা দেয়া হবে। স্বাস্থ্য বিভাগের চাহিদা পেলেই সেখানে পৌঁছে দেয়া হবে করোনার টিকা।
উল্লেখ্য, এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন কমপক্ষে এক কোটি ২০ লাখ মানুষ। জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্যমতে, সেখানে মারা গেছেন কমপক্ষে দুই লাখ ৫৫ হাজার মানুষ। বিশ্বের অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় এই সংখ্যা সর্বোচ্চ। ড. স্লাউয়ি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে যখন এই অবস্থা, তখন এফডিএ’র অনুমোদন পাওয়ার পরদিন থেকেই টিকা বিতরণ শুরু হবে। এই পরিকল্পনায় যেসব মানুষের এই টিকার প্রয়োজন হবে তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন মে মাসের মধ্যে। তিনি আরো বলেছেন, ফাইজার এবং মডার্না উভয়ের টিকাই কার্যকারিতা প্রদর্শন করেছে। সেই কার্যকারিতার ওপর ভিত্তি করে বলা যায়, যেসব মানুষ টিকা নেবেন তাদের মধ্যে শতকরা ৭০ ভাগ বা তারও বেশি সত্যিকার রোগপ্রতিরোধী হয়ে উঠতে পারেন। আর তা হতে সময় লাগতে পারে মে পর্যন্ত। আমরা স্বাভাবিক জীবনে  ফেরার আগে অনেক মানুষকে এই টিকা নিতে হবে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের সংক্রামক রোগ বিষয়ক শীর্ষ বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্থনি ফাউচি গত সপ্তাহে সিএনএনকে বলেছেন, তিনি মনে করেন মার্কিনিরা ২০২১ সালের এপ্রিল বা জুলাইয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন। তবে একেবারে স্বাভাবিক অবস্থায় যেতে আগামী বছরের দ্বিতীয় বা তৃতীয় চতুর্থাংশ প্রয়োজন হতে পারে। ওদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন সতর্ক করেছে। তারা বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রে দ্রুতগতিতে সংক্রমণ বাড়ছে। তাই তারা আগামী ২৬শে নভেম্বর থ্যাংকগিভিং ছুটিতে ভ্রমণ এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছে। হোয়াইট হাউসে করোনাভাইরাস টাস্কফোর্স বিষয়ক সমন্বয়কারী ড. ডেবোরা বিরক্স বলেছেন, থ্যাংকসগিভিং হিসেবে এবার বাসাবাড়িতে সমাবেশ সীমিত করা উচিত।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর