× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন / সাফল্যের হার ৭০ ভাগ

প্রথম পাতা

মানবজমিন ডেস্ক
২৪ নভেম্বর ২০২০, মঙ্গলবার

ফাইজার, মডার্নার পর এবার আশার বাণী শুনিয়েছেন অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকরা। তারা বলেছেন, করোনাভাইরাসের যে টিকা তারা আবিষ্কার করেছেন, তা শতকরা ৭০ ভাগ সফল। পরীক্ষায় তাই প্রমাণিত হয়েছে। এমন ‘ফ্যান্টাস্টিক’ খবরে বিজ্ঞানী এবং স্বেচ্ছাসেবকদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
ফাইজার ও মডার্না যেখানে তাদের টিকা শতকরা ৯৫ ভাগ সফল বলে দাবি করছে, সেখানে অক্সফোর্ডের টিকার সফলতা ৭০ ভাগ দাবি করা হলেও এক্ষেত্রে আশার কথা আছে। বলা হচ্ছে, এর দাম কম হবে। তাছাড়া গণহারে এই টিকা দেয়া হবে না। প্রথমে বয়স্ক ব্যক্তি বা অত্যন্ত ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের দেয়া হবে এই টিকা।
পরে আস্তে আস্তে বয়সের ধাপ অনুসরণ করে দেয়া হবে এই টিকা। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এ নিয়ে বিবিসি বাংলা লিখেছে, সাধারণত যে টিকা আবিষ্কারে এক দশকের বেশি সময় লেগে যায়, সেটা মাত্র ১০ মাসেই আবিষ্কার করেছেন অক্সফোর্ডের গবেষকরা। বৃটেনের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা করোনাভাইরাসের যে ভ্যাকসিনটি নিয়ে কাজ করছে, সেটির একটি ব্যাপক ট্রায়ালের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, ভ্যাকসিনটি শতকরা ৭০ ভাগ মানুষের মধ্যে কোভিড বাসা বাঁধতে দেয় না। ফাইজার ও মডার্না যখন দাবি করছে তাদের তৈরি ভ্যাকসিনের সাফল্য এক্ষেত্রে ৯৫ ভাগ, তখন এই খবরটিকে একই সঙ্গে হতাশাব্যঞ্জক এবং বিজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। বলা হচ্ছে অন্য টিকা দু’টির তুলনায় অক্সফোর্ডের টিকা হবে অনেক সস্তা। সারা দুনিয়ায় এর সংরক্ষণ এবং প্রতিটি কোণায় কোণায় তা ছড়িয়ে দেয়া হবে অপেক্ষাকৃত সহজ।
নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ যদি এই টিকা অনুমোদন করে, তাহলে মহামারি মোকাবিলার ক্ষেত্রে এই টিকাটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। একই সঙ্গে এমন তথ্যও পাওয়া যাচ্ছে যে, ভ্যাকসিনটি আরো নিখুঁত করে তোলা গেলে এটিরও সাফল্যের হার বেড়ে ৯০ শতাংশে পৌঁছে যাবে। যুক্তরাজ্যের সরকার এর মধ্যেই অক্সফোর্ডের টিকার ১০ কোটির চাহিদা জানিয়েছে, যা দেশটির পাঁচ কোটি মানুষকে সুরক্ষা দেয়ার জন্য যথেষ্ট।
পরীক্ষায় কি দেখা গেছে?
যুক্তরাজ্য ও ব্রাজিলজুড়ে ২০ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবী অক্সফোর্ডের টিকার মানব পর্যায়ের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। গবেষকরা বলছেন, মানব পর্যায়ের পরীক্ষায় তারা ৭০ শতাংশ সফলতা দেখতে পেয়েছেন। তবে কৌতূহলোদ্দীপক ব্যাপার হলো, স্বেচ্ছাসেবীদের একটি অংশের মধ্যে এই টিকার ৯০ শতাংশ সফলতা পাওয়া গেছে, যাদের প্রথমে টিকার অর্ধেক ডোজ দেয়া হয়, পরে বাকিটা দেয়া হয়েছিল।
কখন টিকা পাওয়া যাবে?
যুক্তরাজ্যের জন্য এর মধ্যেই ৪০ লাখ টিকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আরো নয় কোটি ৬০ লাখ টিকার সরবরাহ বাকি রয়েছে। তবে যে কর্তৃপক্ষ টিকার নিরাপত্তার দিকগুলো, কার্যকারিতা এবং মানের বিষয় তদারকি করে, সেই কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দেয়ার পরেই এই টিকার ব্যবহার শুরু করা যাবে। যুক্তরাজ্য একটি ব্যতিক্রমী ধরনের গণটিকা কর্মসূচি শুরু করার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। সেজন্য সর্দিকাশি বা শিশুদের টিকা দেয়ার যে বার্ষিক কর্মসূচি পালন করা হয়ে থাকে, সেখানে কিছু কাটছাঁট করা হতে পারে। বয়স্ক সেবাকেন্দ্রের বাসিন্দা আর কর্মীরা সবার আগে টিকা পাবেন। এরপরেই পাবেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং ৮৫ বছর বয়সের উপরের ব্যক্তিরা। এরপরে বয়সের ধাপ অনুযায়ী বাকি সবাই টিকা পাবেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর