× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চীনের অভিযোগ: এশিয়া-প্যাসিফিকে বিশৃংখলা সৃষ্টি করছে যুক্তরাষ্ট্র

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৩ বছর আগে) নভেম্বর ২৪, ২০২০, মঙ্গলবার, ৪:৫৬ পূর্বাহ্ন

যুক্তরাষ্ট্র এশিয়া-প্যাসিফিকে বিশৃংখলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছে চীন। এর আগে স্ব-শাসিত তাইওয়ানের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও’ব্রায়ান। তার এমন সমর্থনকে অযৌক্তিক বলে আখ্যায়িত করেছে চীন। একই সঙ্গে তারা বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের এমন কর্মকাণ্ডে আঞ্চলিক উত্তেজনা তীব্র থেকে তীব্র হবে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা। এতে বলা হয়, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও’ব্রায়ান ফিলিপাইন সফর করেন। চীনের সঙ্গে নৌসীমানা নিয়ে যেসব দেশের বিরোধ আছে তাতে তাদের সমর্থন দেন তিনি। একই সঙ্গে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য ওই অঞ্চলে চীন তার সামরিক উপস্থিতি বৃদ্ধি করে চাপ সৃষ্টি করছে বলেও বেইজিংয়ের সমালোচনা করেন ও’ব্রায়ান।
ম্যানিলা সফরকালে তিনি ফিলিপাইন ও ভিয়েতনামকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমরা আপনাদের সাথে আছি। তিনি তাইওয়ানের স্ব-শাসনের পক্ষেও অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন। উল্লেখ্য, ফিলিপাইন ও ভিয়েতনাম দুটি দেশের সঙ্গেই দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে বিরোধ আছে। এর প্রেক্ষাপটে ও’ব্রায়ানের ওই মন্তব্যকে অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছে চীন। ম্যানিলায় চীনের দূতাবাস থেকে তাদের ওয়েবসাইটে একটি বিবৃতি দেয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এমন বক্তব্যের বিরোধিতা করি আমরা। যুক্তরাষ্ট্রের এসব কথা পূর্ণাঙ্গ শীতল যুদ্ধের মানসিকতা ও অযাচিত সংঘাত সৃষ্টি। ও’ব্রায়ানের সফর নিয়ে এতে বলা হয়েছে, তার এই সফর এটাই প্রদর্শন করে যে, তিনি এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে সামনে এগিয়ে নিতে আসেননি। তিনি এসেছেন নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধি করতে। এ জন্য তারা এ অঞ্চলে বিশৃংখল অবস্থা সৃষ্টি করতে চায়।

কয়েক বছর ধরে তথাকথিত নাইন-ড্যাশ লাইন এর অধীনে দক্ষিণ চীন সাগরের পুরোটাই দাবি করে আসছে চীন। এর অধীনে কয়েক বছরে তারা বিরোধপূর্ণ অন্তরীপে বেশ কিছু সামরিক স্থাপনা তৈরি করেছে। ওই অঞ্চল চীনের নয় বলে রায় দিয়েছে আন্তর্জাতিক একটি আদালত। এ অঞ্চলের দাবিদার ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া। ফিলিপাইন এ বিষয়ে দ্য হেগের আদালতে উত্থাপন করেছে এ বিষয়টি। এরপর ল’ অব দ্য সি বিষয়ক জাতিসংঘের কনভেনশনের অধীনে ৩৭০.৪ কিলোমিটারের মধ্যে (২০০ নটিক্যাল মাইল) ওই অঞ্চলের অধিকার পায় ফিলিপাইন। কিন্তু তাও বিরত করতে পারেনি চীনকে। তারা অব্যাহতভাবে সমুদ্রে ঘাঁটি নির্মাণ করে যাচ্ছে। ওই অঞ্চলে মাঝে মাঝেই যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের এ আচরণকে চীনা দূতাবাস প্ররোচণা হিসেবে দেখছে। চীন বলেছে, এতে প্রমাণ হয় যে, দক্ষিণ চীন সাগরে সবচেয়ে বড় সমরাস্ত্রের এলাকা হিসেবে গড়ে তুলছে যুক্তরাষ্ট্র। এটা সবচেয়ে বড় বিপজ্জনক বিদেশী ফ্যাক্টর। এতে দক্ষিণ চীন সাগরের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিপন্ন হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর