মানবজমিনে সংবাদ প্রকাশের পর টনক নড়লো স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের। মির্জাগঞ্জ উপজেলার চত্রা ইউজেড আর বেরেরধন নদী পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা পাকাকরণে প্রাক্কলনে ৩৪ লাখ ৫২ হাজার ১৩৪ টাকার পুরনো ইট অন্তর্ভুক্ত করে উপজেলা এলজিইডি। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার রাস্তার কাজ করতে গিয়ে সরজমিনে দেখে বাস্তবে সেখানে মাত্র ২শ’ ফুট রাস্তার ৪-৫ হাজারের মতো পুরাতন ইট রয়েছে। যার বাজার দর ৪০-৫০ হাজার টাকার মতো। কিন্তু সেখানে উপজেলা এলজিইডি দরপত্রে প্রায় ৩ লাখ ইট দেখিয়ে ৩৪ লক্ষাধিক টাকা ধার্য করেন। ঠিকাদার এর সংশোধনের জন্য পটুয়াখালী জেলা প্রকৌশলীর নিকট একটি আবেদন করে। তদন্তের জন্য সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী এলজিইডি পটুয়াখালী যুগল কৃষ্ণ মন্ডলকে আহ্বায়ক করে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়া জন্য একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করে পটুয়াখালী এলজিইডি। এ ব্যাপারে বরগুনা ও পটুয়াখালী জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মোল্লা মিজানুর রহমান বলেন, পটুয়াখালী জেলা ও মির্জাগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলীকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।
এক রাস্তার আইডি অন্য রাস্তায় দেখানোর কারণে সংশ্লিষ্ট সার্ভেয়ার মো. জসিম উদ্দিনকে শোকজ করা হয়েছে।