চ্যাম্পিয়নস লীগে রিয়াল মাদ্রিদের সময়টা ভালো যাচ্ছে না। ‘বি’ গ্রুপে চার দলের মধ্যে তৃতীয় স্থানে জিনেদিন জিদানের দল। চতুর্থ ম্যাচে আসরের সর্বোচ্চ শিরোপাধারীদের প্রতিপক্ষ ইন্টার মিলান। নেরাজ্জুরিদের মাঠে কখনই জেতেনি রিয়াল মাদ্রিদ। অধিনায়ক সার্জিও রামোসকে ছাড়া ইন্টারের মাঠে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে রিয়াল মাদ্রিদকে। আন্তর্জাতিক বিরতির আগে স্প্যানিশ লা লিগায় ভ্যালেন্সিয়ার কাছে ৪-১ গোলে হার। বিরতি থেকে ফিরে ভিয়ারিয়ালের মাঠে পয়েন্ট খোয়ায় তারা। করোনা ও চোট জর্জর রিয়ালের জন্য সুখবর- ইন্টারে বিপক্ষে করিম বেনজেমা ও ক্যাসেমিরোকে পাচ্ছেন জিনেদিন জিদান।
তবে চোট থাকায় অধিনায়ক সার্জিও রামোসকে পাবে না লস ব্লাঙ্কোস। রক্ষণভাগে রামোসকে ছাড়া ভুগতে হতে পারে ইন্টারের শক্তিশালী আক্রমণভাগের কাছে। আন্তোনিও কন্তের দলের আক্রমণভাগের তারকারা রয়েছেন দারুণ ফর্মে। গত রোববার রোমোলু লুকাকু, লাওতারো মার্টিনেজ, অ্যালেক্সিজ সানচেজদের দারুণ পারফরমেন্সে ২-০তে পিছিয়ে পড়েও ৪-২ ব্যবধানে হারায় তুরিনোকে। সান সিরোয় সাতবারের চেষ্টায় ইন্টারকে হারাতে পারেনি রিয়াল মাদ্রিদ। পাঁচ হারের সঙ্গে ড্র দুই ম্যাচে। সর্বশেষ ১৯৯৮ সালে সান সিরোয় ইন্টারের বিপক্ষে খেলা ম্যাচে রিয়াল হারে ৩-১ ব্যবধানে। দু’দলের মুখোমুখি শেষ দশ লড়াইয়ে এগিয়ে ইন্টার মিলান। ইন্টারের পাঁচ জয়ের বিপরীতে রিয়ালের জয় চারটি, ড্র এক ম্যাচে। চলমান আসরের প্রথম লেগে ঘরের মাঠে ৩-২ গোলে জেতে রিয়াল। বদলি হিসেবে নেমে শেষদিকে গোল করে রিয়ালকে জয় এনে দেন ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার রদ্রিগো। আক্রণভাগে করিম বেনজেমা ফেরায় এ ম্যাচেও বদলি হিসেবে খেলতে হবে রদ্রিগোকে। ভিনিসিয়াস জুনিয়রকেও প্রথম একাদশে দেখা যাবে না। সান সিরোয় জয়টা গুরুত্বপূর্ণ ইন্টার মিলানেরও। ৩ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপের তলানিতে ইতালিয়ান ক্লাবটি। একই দিন মাঠে নামবে গ্রুপের দুই শীর্ষ দল বরুশিয়া মনশেনগ্লাডবাখ ও শাখতার দোনেস্ক।