× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

জয় দিয়ে ফিরলেন সাকিব

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
২৪ নভেম্বর ২০২০, মঙ্গলবার

প্রথম ম্যাচের মত বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের দ্বিতীয় ম্যাচের ফলও নির্ধারণ হয় শেষ ওভারের রোমাঞ্চে। ম্যাচ থেকে অনেকটাই ছিটকে যাওয়া জেমকন খুলনাকে শেষ ওভারে চার ছক্কায় ১ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন আরিফুল হক। ফলে জয় দিয়েই প্রত্যাবর্তন রাঙালেন নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা সাকিব আল হাসান।  

লক্ষ্য তাড়ায় নেমে তাসকিন আহমেদের বোলিং তোপে শুরুতেই খেই হারিয়ে বসে জেমকন খুলনা। দুই ওভারের প্রথম স্পেলেই তাসকিন ফিরিয়েছেন ওপেনার এনামুল হক বিজয় (৪) ও ইমরুল কায়েসকে (০)। এক বছরের বেশি সময় পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফেরা সাকিব আল হাসান ও অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ কিছুটা হাল ধরার চেষ্টা করেন।

তবে দুজনেই ফিরে যান পাওয়ার প্লের ৬ ওভারের মধ্যে। সুমন খানের শিকার হওয়ার আগে ১৩ বলে ২ চারে সাকিব করতে পেরেছেন ১৫ রান।
অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ফিরেছেন ১৬ বলে ১৭ রান করে। তাদের বিদায়ে ৪ উইকেটে ৩৬ রানে পরিণত হয় জেমকন খুলনা।

সেখান থেকে আরিফুল হককে নিয়ে ৪২ রানের জুটিতে প্রতিরোধের চেষ্টা করেন জহরুল ইসলাম অমি। কামরুল ইসলামের ৩১ রান করে অমি ফিরলে ভাঙে জুটি। এরপর ৪৬ বলে ৭৮ রান প্রয়োজন এমন সমীকরণকে ৩ ওভারে ৩৫ এ নিয়ে আসেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী।

তার ১৮ বলে ২৬ রানের পরও অবশ্য ম্যাচ জয়ে কঠিন পথে ছিল জেমকন খুলনা। তার বিদায়ের পরও ১৪ বলে ৩১ রান প্রয়োজন ছিল। যেখানে ২৮ বলে ২৩ রান নিয়ে ক্রিজে থাকা আরিফুল হকের জন্য ম্যাচ জেতানো অবিশ্বাস্যই মনে হচ্ছিল। শেষ দুই ওভারে প্রয়োজন পড়ে ২৯। ১৯ তম ওভার থেকে আসে মাত্র ৭ রান।

শেষ ওভারে প্রয়োজন ২২, স্ট্রাইকে ২৯ বলে ২৪ রান করা আরিফুল হক। অথচ শেষ ওভারে মিরাজকে ৫ বলে চার ছক্কা হাঁকিয়ে নায়ক বনে যান ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৩৪ বলে ৪৮ রানে। ফরচুন বরিশালের হয়ে সর্বোচ্চ দুইটি করে উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ, সুমন খান। একটি করে শিকার মেহেদী হাসান মিরাজ ও কামরুল ইসলাম রাব্বির।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট হারায় ফরচুন বরিশাল। শফিউল ইসলামের বলে ওপেনার মেহেদী মিরাজ ফিরতি ক্যাচ দিয়ে খালি হাতে ফেরেন। অধিনায়ক তামিম ইকবালও জ্বলে উঠতে পারেননি। প্রতিপক্ষের সেরা বোলার শহিদুল ইসলামের প্রথম শিকার হয়ে ফিরেছেন ১৫ রান করে।

দুই ওপেনারের ব্যর্থতা টেনে নেন বাকিরাও। তবে স্রোতের বিপরীতে দলের হাল ধরার কাজটা করেন তরুণ ব্যাটসম্যান পারভেজ হোসেন ইমন। যুব বিশ্বকাপ জয়ী দলের এই সদস্য ৪২ বলে ৩ চার ৪ ছক্কায় খেলেন ৫১ রানের ইনিংস। সাকিব আল হাসান প্রত্যাবর্তন ম্যাচ শুরু করেন বোলিং দিয়ে। ৩ ওভারে ১৮ রান খরচায় তুলে নেন আফিফ হোসেনের (২) উইকেট।

মাঝে ফরচুন বরিশালে ইনিংসে কিছুটা প্রলেপ দেন তৌহিদ হৃদয় ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। দুজনের ব্যাট থেকে আসে যথাক্রমে ২৭ ও ২১ রান। এর বাইরে আর কোন ব্যাটসম্যান দাঁড়াতে না পারায় ৯ উইকেট ১৫২ রানেই থামে  ফরচুন বরিশালের ইনিংস। জেমকন খুলনার হয়ে ৪ ওভারে ১৭ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়ে সেরা বোলার শহিদুল ইসলাম। দুটি করে শিকার শফিউল ইসলাম ও হাসান মাহমুদের।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর