× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বিভাগীয় প্রধান ছাড়াই চলছে বেরোবির একাউন্টিং বিভাগ

শিক্ষাঙ্গন

ইভান চৌধুরী, বেরোবি প্রতিনিধি
(৩ বছর আগে) নভেম্বর ২৫, ২০২০, বুধবার, ৬:১৯ পূর্বাহ্ন

বিভাগীয় প্রধান ছাড়াই চলছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ। বিভাগীয় প্রধানের মেয়াদ শেষ হওয়ার এক মাস পার হলেও নতুন করে কাউকে নিয়োগ না দেওয়ায় বিভাগের কার্যক্রম কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে। বিপাকে পড়েছে বিভাগের শত শত শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, বিভাগের জেষ্ঠ্যতার ভিত্তিতে বিভাগের শিক্ষকদের মধ্য হতে তিন বছরের জন্য বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ হয়ে থাকেন। একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সর্বশেষ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ছিলেন মো. শাহীনুর রহমান। গত ২১ অক্টোবর তার দায়িত্বের মেয়াদ শেষ হয়। নিয়ম অনুযায়ী ভিত্তিতে বিভাগীয় প্রধান হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার কথা একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক উমর ফারুক। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী সাবেক বিভাগীয় প্রধানের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরদিন থেকেই তার নিয়োগ হওয়ার কথা।
কিন্তু গত এক মাস পার হলেও তাকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিরোধী শিক্ষকদের সাথে তার সখ্যতা থাকার কারনে তাকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না বলে একটি সুত্র জানিয়েছে।

এদিকে বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কাউকে নিয়োগ না দেওয়ায় বিভাগের প্রশাসনিক কার্যক্রম কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। অনেক শিক্ষার্থী তাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উত্তোলন করতে পারছে না। ফলে চড়ম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। অপরদিকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে জেষ্ঠ্যতা ভঙ্গ করে একাউন্টিং এন্ড  ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ দেয়া হতে পারে এমন গুঞ্জন উঠেছে।

এ ব্যাপারে একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান শাহীনুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। এখানে আমার বলার কিছু নেই।
সার্বিক বিষয়ে জানতে রেজিস্ট্রার আবু হেনা মোস্তফা কামাল এবং প্রো-ভিসি সরিফা সালোয়া ডিনার মুঠোফোনে ফোন করলে তারা কেউ রিসিভ করেন। ভিসি প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর দপ্তরে গেলে দপ্তর সংশ্লিষ্টরা জনান, ভিসি ঢাকায় অবস্থান করছেন। কি কারণে ঢাকায় অবস্থান করছেন এমন প্রশ্নের উত্তর মিলেনি তাদের কাছে। পরে ভিসির মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি, মেসেজ পাঠালেও তার ফিরতি কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের তোয়াক্কা না করে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, রসায়ন এবং ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর