× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ছক্কা খেয়ে মোস্তাফিজদের প্রতি শ্রদ্ধা বেড়েছে মিরাজের

খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক
২৬ নভেম্বর ২০২০, বৃহস্পতিবার

স্লগ ওভারে বোলিং করা খুব একটা হয় না মেহেদী হাসান মিরাজের। মঙ্গলবার শেষ ওভারে মিরাজের বলে চারটি ছক্কা হাঁকিয়ে খুলনাকে নাটকীয় জয় এনে দেন আরিফুল হক। আর এবারের অভিজ্ঞতার পর ডেথ ওভারের বোলারদের ওপর শ্রদ্ধা বেড়ে গেছে মিরাজের। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে ফরচুন বরিশালের তারকা মিরাজ বলেন, ‘ম্যাচের পর হোটেলে ফিরে রাতেই মোস্তাফিজের রুমে গিয়ে বলেছি, ওদের মতো যারা শেষ দিকে নিয়মিত বল করে, তাদের প্রতি সম্মান অনেক বেড়ে গেছে আমার। ডেথ ওভারে বোলিং করা খুব কঠিন। অনেক স্কিলের ব্যাপার, চাপ সামলানোর ব্যাপার। আমি নিজেও অনেক সময় আগে হয়তো মনে মনে বলেছি- কী বল করছে এসব, কেন মার খাচ্ছে! এখন বুঝেছি এটা ভীষণ চাপ। দিনের পর দিন ভীষণ কঠিন কাজ করে চলেছে ওরা।’
দিনটি একদমই ভালো ছিল না মেহেদী হাসান মিরাজের।
ব্যাট হাতে ওপেনিংয়ে নেমে প্রথম বলেই উইকেট খোয়ান তিনি। পরে শেষ ওভারে তাকে চারটি ছক্কা হাঁকিয়ে জেমকন খুলনার জয় নিশ্চিত করেন আরিফুল হক। যদিও নিজের শুরুর তিন ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে খুলনার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর উইকেট নিয়েছিলেন মিরাজ।
স্বাভাবিকভাবেই মিরাজ বিষন্ন হয়ে পড়েছিলেন ম্যাচ শেষে। তবে তিনি জানালেন, অধিনায়ক ও সতীর্থদের পাশে পেয়ে আবার চাঙ্গা হয়েছে মন।
মিরাজ বলেন, ‘কোনো লেভেলের ক্রিকেটেই এরকম আগে করেছি বলে মনে পড়ে না। ছোটখাটো ভুল বা টুকটাক অবদান রাখতে পারিনি বলে হয়তো দল হেরেছে অনেকবারই। কিন্তু এভাবে আমার এক ওভারেই দল হেরে গেছে, এরকম আগে হয়নি। ম্যাচ শেষে খুব খারাপ লাগছিল। তবে দল থেকে আমাকে একটুও বকা দেয়া বা রাগ করা, কিছুই হয়নি। বরং অধিনায়ক তামিম ভাইসহ দলের সবাই খুব সাহস দিয়েছেন, উৎসাহ দিয়েছেন। ম্যানেজমেন্টও পাশে থেকেছে। এসব কারণে মন খারাপ লাগাটা লম্বা হয়নি।’
মিরাজ বলেন, ‘শিশিরের কারণে বল গ্রিপ করা একটু কঠিন ছিল। তবে চার ছক্কা তো শুধু সেটার কারণেই নয়। বোলিংও ভালো করতে পারিনি। ওভার দা উইকেট থেকে রাউন্ড দা উইকেটে এসে অ্যাঙ্গেল বদলানোর চেষ্টা করেছি, লেংথ বদলের চেষ্টা করেছি। কাজ হয়নি। আরিফুল ভাইকেও কৃতিত্ব দিতে হবে। দারুণ খেলেছেন, একটা ছক্কাও মিসহিটে হয়নি।’
২৩ বছর বয়সী অলরাউন্ডার বলেন, ‘জীবনে সবই শিক্ষা। ভালো করলেও শেখার আছে, খারাপ করলে তো আরও বেশি। অনেকে এটা ভুলে যেতে বলবেন। তবে আমি শিক্ষাটা মনে রাখতে চাই। ভবিষ্যতে আবার এ ধরনের পরিস্থিতিতে পড়লে তখন কাজে লাগাতে চাই।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর