জয়ের জন্য শেষ ওভারে জেমকন খুলনার ৬ বলে প্রয়োজন ২২ রান। প্রতিপক্ষ ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজকে বল তুলে দিলেন শেষ ওভারে। ক্রিজে থাকা আরিফুল হক স্পিন দেখেই হয়ে উঠলেন আত্মবিশ্বাসী। প্রথম দুই বলে ছক্কা হাঁকালেন। তৃতীয় বলে সিঙ্গেল নেয়ার সুযোগ থাকলেও নিলেন না। চতুর্থ ও পঞ্চম বলে ফের দুই ছক্কা। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে নাটকীয় ম্যাচে খুলনাকে দুর্দান্ত এক জয় এনে দিলেন আরিফুল হক। এমন নৈপুণ্যের রহস্য কী! আরিফুল জানালেন আত্মবিশ্বাস আর নিজের বদলে ফেলা ফিটনেসের কথা।
দৈনিক মানবজমিনকে আরিফুল হক বলেন, ‘যখন স্পিনারের হাতে বল ওঠে তখনই আমি জানতাম জয় সম্ভব। কারণ শিশিরের কারণে বল ভিজে যাচ্ছিল। তাই স্পিনটা ঠিকভাবে হচ্ছিল না। আমি এতটাই আত্নবিশ্বাসী ছিলাম যে প্রথম দুই বলে ছয় মারার পর জানতাম আরো সম্ভব। তাই তৃতীয় বলে দৌড়ে রান নেয়ার সুযোগ থাকলেও দাঁড়িয়ে থাকি। পরের দুই বলেও সেই সুযোগটা কাজে লাগাই। যদি পেসার থাকতো তাহলে এটা ভাবতে পারতাম না। আমার এই আত্মবিশ্বাসের আরেক কারণও ছিল। আমি নিজেকে দারুণভাবে ফিট করেছি। ১২ কেজি ওজন কমিয়েছি। এছাড়াও ব্যাটিং নিয়েও কাজ করেছি।’ আজ দুপুরে মিরপুর শেরেবাংলা মাঠে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর বিপক্ষে মাঠে নামছে জেমকন খুলনা।
আসরে উদ্বোধনী ম্যাচে শক্তিধর বেক্সিকো ঢাকার বিপক্ষে জয় পায় রাজশাহী। নিজ নিজ ম্যাচে রাজশাহী-খুলনা উভয় দলই জিতেছে অলরাউন্ডারদের লড়াইয়ে শেষ ওভারে। কাগজে-কলমে তারকাখচিত শক্তিশালী দল খুলনা। দলটির নেতৃত্বে রয়েছেন দেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। শুধু তাই নয় দেশের সাবেক টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক ও বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানও আছেন এই দলে। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে শেষ ওভারে দলকে জয় এনে দেন আরিফুল। ৩৪ বলে করেন ৪৮ রান। দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর করেন জহিরুল ইসলাম অমি। তাই বলার অপেক্ষা রাখে না টি-টোয়েন্টিতে কাউকেই হালকা করে দেখার উপায় নেই। তাই আরিফুল মনে করেন প্রতিপক্ষ যেই হোক জিততে হলে নিজের সেরাটাই দিতে হবে।