× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মাঠের লড়াইয়ে চোখ মিঠুনদের

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
২৬ নভেম্বর ২০২০, বৃহস্পতিবার

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে দুই-তিনটি দল কাগজে-কলমে বেশ শক্তিশালী। এরমধ্যে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামকে বলা হচ্ছে ভারসাম্যপূর্ণ দল। তাই বেক্সিমকো ঢাকার বিপক্ষে কঠিন প্রতিপক্ষ হবে এমনটাই অনুমেয়। তবে দলের গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন কাগজ-কলমের শক্তিতে বিশ্বাসী নয়। তার চোখ মাঠের লড়াইয়ে। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে আজ চট্টগ্রামের মুখোমুখি হবে বেক্সিমকো ঢাকা। আর গতকাল মিঠুন বলেন, ‘খেলার আগে হয়তো অনেকে চিন্তা করেছেন, খাতা-কলমে কারা কতটা শক্তিশালী। কিন্তু কালকের (মঙ্গলবার) খেলায় একটা পরিষ্কার ধারণা হয়েছে মাঠের ক্রিকেটটা গুরুত্বপূর্ণ খাতা কলমের চেয়ে।
উইকেট দেখে আমার মনে হয়েছে খুব ভালো উইকেট, হাই স্কোরিং ম্যাচ হবে মনে হয়। আমি একা কাউকে নিয়ে খুব বেশি আশাবাদী না, আমরা দলকে নিয়ে বেশি আশাবাদী।’ আজ মিরপুর শেরেবাংলা মাঠৈ ঢাকা-চট্টগ্রাম ম্যাচ শুরু সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। নিজেদের প্রথম ম্যাচে রাজশাহীর কাছে হার দেখেছে বেক্সিমকো ঢাকা। যে কারণে জয়ে ফিরতে মরিয়া হয়ে মাঠে নামবে অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহীমের দল। নয়া অধিনায়ক মিঠুনের চ্যালেঞ্জটাও তাই সহজ হবে না।
চট্টগ্রাম দল ব্যাটে বলে দারুণ ভারসাম্যপূর্ণ। সৌম্য সরকার, লিটন কুমার দাস, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, শামসুর রহমান শুভ. জিয়াউর রহমানরা টি-টোয়েন্টিতে ব্যাট হাতে পরীক্ষিত ক্রিকেটার। অন্যদিকে বল হাতে মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, তাইজুল ইলাম, তরুণ শরিফুল, রাকিবুলরাও দারুণ কার্যকর। এখানেই শেষ নয়, দলের বিপর্যয়ে হাল ধরতে আছেন অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন, টেস্ট অধিনায় মুমিনুল হক সৌরভের মতো ঠান্ডা মাথার ব্যাটসম্যানরা। এমন দল পেয়ে অধিনায়ক দারুণ আশাবাদী। মিঠুন বলেন, ‘আমি আমার দল নিয়ে অনেক খুশি। আমরা একটা ভারসাম্যপূর্ণ সাইড। এখন মাঠে প্রমাণ করতে হবে যে আমরা দল হিসেবে কতটা ভালো। আমি মনে করি যে আমরা যদি স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারি, আমাদের যে টিম, ইতিবাচক ফলাফলই আশা করছি।’

এছাড়াও অধিনায়ক হিসেবে দল আস্থা রেখেছে মিঠুনের ওপর।  নেতৃত্ব নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাকে যোগ্য মনে করেছে। আমি অবশ্যই আমার দিক থেকে শতভাগ চেষ্টা করবো আমার নিজের এবং দলের সেরা পারফরম্যান্সটা বের করে আনতে। গোল সেটাপের কথা যেটা বললেন মাত্র টুর্নামেন্ট শুরু। আমি ভবিষ্যত চিন্তা করি না, বর্তমানে থাকতেই বেশি পছন্দ করি। আমার লক্ষ্য ম্যাচ বাই ম্যাচ। এমনকি প্রতিটা বল আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। কালকের (আজ) ম্যাচে আমি যেটা মনে করি যারা সেরা ক্রিকেটটা খেলবে তারাই জিতবে।’

অন্যদিকে বেক্সিকো ঢাকার শুরুটা হতাশার। ১৭০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শেষ ওভারে তাদের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল মাত্র ৯ রান। কিন্তু রাজশাহীর তরুণ স্পিনার মেহেদি হাসান শেষ ওভারে বল হাতে রুখে দেয় প্রতিপক্ষকে। নাটকীয় ম্যাচে রাজশাহী জয় পায় ২ রানে।

পরে বেক্সিমকো ঢাকার অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম বলেন, ‘আমি, আকবর, তামিম (জুনিয়র), নাঈম সবাই সেট হয়েছিলাম। কিন্তু আপনার শুরুটাকে বড় করতে হবে। ৬০-৭০ রান করতে পারলে কেউ ম্যাচ আমাদের হাতে থাকতো। আমার মনে হয় আকবরের উইকেটটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ নতুন ব্যাটসম্যানের জন্য কঠিন ছিল শেষদিকে। কারণ আপনি আশা করতে পারেন না কোনো ব্যাটসম্যান এসেই তিন ছক্কা হাঁকাবে। কৃতিত্বটা মুক্তারের সে শেষ ওভার ছাড়া খুব ভালো ব্যাট করেছে। আশা করি আমরা এই ম্যাচ থেকে শিখতে পারবো। এটাই খেলার সৌন্দর্য। আপনার ভুল থেকে শিখতে হবে এবং পরের ম্যাচে আরও ভালোভাবে ফিরে আসতে হবে।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর