× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কুমিল্লার দেলোয়ার হত্যার আসামিরা দুই বছরেও গ্রেপ্তার হয়নি

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, কুমিল্লা থেকে
২৬ নভেম্বর ২০২০, বৃহস্পতিবার

কুমিল্লার বহুল আলোচিত জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন হত্যাকাণ্ডের দুই বছর আজ। চাঞ্চল্যকর এ খুনের পরিকল্পনাকারী ও মূল ঘাতকরা আজো রয়ে গেছে অধরা। এদিকে এ খুনের মামলাটি থানা পুলিশের পর এখন তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কুমিল্লা। তবে পিবিআই এর দাবি, তারা হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটন করেছে এবং সহসাই জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে পারবে।
জানা যায়, কুমিল্লা নগরীর শামবক্সি (ভল্লবপুর) এলাকায় ২০১৮ সালের ২৬শে নভেম্বর রাতে একদল সন্ত্রাসী মোটরসাইকেলে করে এসে দেলোয়ারকে ঘেরাও করে হামলা চালায় এবং মাথায় গুলি করে তাকে হত্যা করে। ঘটনার পরদিন নিহতের ভাই শাহাদাত হোসেন নয়ন বাদী হয়ে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় ওই গ্রামের রেজাউল করিম ও কাউছারসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়। দেলোয়ার হত্যা মামলাটি বর্তমানে তদন্ত করছে পিবিআই। নিহত দেলোয়ারের স্ত্রী জিলকজের নেছা বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা আমাকে বিধবা ও আমার দুই শিশু সন্তানকে এতিম করেছে।
সন্তানরা যখন তাদের বাবাকে খুঁজে বেড়ায় তখন বুকভরা কান্না চেপে রাখতে পারি না। নিরাপত্তাহীনতার কারণে বাড়িতে থাকি না। এক আত্মীয়ের বাসা থেকে আরেক আত্মীয়ের বাসায় ঘুরে দিন কাটাচ্ছি। আমি খুনিদের ফাঁসি চাই।’ মামলার বাদী শাহাদাত হোসেন নয়ন বলেন, ‘এ হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী কাউন্সিলর আবদুস সাত্তার। সে চাঞ্চল্যকর যুবলীগ কর্মী জিল্লুর রহমান চৌধুরী হত্যা মামলারও ২নং আসামি। এ মামলার প্রধান আসামি রেজাউল এলাকায় ২টি হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজি, ধর্ষণ, মাদক ও ডাকাতিসহ মোট ৩০টি মামলার আসামি। তাদের নানা অপরাধ ও অপকর্মের প্রতিবাদী ভূমিকার কারণে আমার ভাইকে তারা পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে। অবিলম্বে মূল ঘাতকদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’ বৃহস্পতিবার (আজ) দেলোয়ার হত্যাকাণ্ডের দুই বছর উপলক্ষে তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হবে বলেও তিনি জানান। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই-কুমিল্লার পরিদর্শক মতিউর রহমান বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মামলার প্রধান আসামি পলাতক রেজাউলের সহযোগী এজাহার বহির্ভূত আনোয়ার হোসেন একজনকে গত ২৩শে সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তারের পর দেলোয়ার হত্যারহস্য বের হয়ে আসে। জিজ্ঞাসাবাদে সে এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। পরদিন সে আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে দেলোয়ার হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী কাউন্সিলর আবদুস সাত্তারসহ খুনিদের নাম বলেছে। তিনি এ খুনের রহস্য উদঘাটনসহ মামলার তদন্ত অনেক এগিয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর