সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের ঘাটাবাড়ি এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে যমুনায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা ড্রেজার আগুন দিয়ে পুড়িয়েও রোধ করা যাচ্ছে না। বছর খানেক পর সেখানে স্থানীয় একটি চক্র আবারো নদী থেকে জোর করে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে তা আশপাশে বিক্রি শুরু করেছে। এদিকে হঠাৎ করে নদী থেকে বালু উত্তোলন শুরু করায় নদী তীরবর্তী এলাকাজুড়ে ভাঙন বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে স্থানীয়দের মাঝে বেড়েছে ক্ষোভ ও হতাশা। বালু উত্তোলন বন্ধে স্থানীয়রা বাধা দেয়ায় সন্ত্রাসী চক্রটি হত্যার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর এলাকাবাসী একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
জানা যায়, শাহজাদপুর উপজেলার পূর্বাঞ্চল খুকনী ও জালালপুর ইউনিয়ন যমুনার ভাঙনে এমনিতেই বিপর্যস্ত। গত ৫ বছরে অন্তত কয়েক হাজার ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে।
উপরন্তু অবৈধভাবে ড্রেজার লাগিয়ে স্থানীয় একটি সন্ত্রাসী চক্র বালু উত্তোলন করে বিক্রি করায় ভাঙনের মাত্রা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য এই অঞ্চলের মানুষের চরম ক্ষোভ ও অভিযোগের ভিত্তিতে গত বছরের ২৯শে নভেম্বর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে অবৈধ ড্রেজারটি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। বর্তমানে আবারো সেই বাঘাবাড়ির মজনু মিয়া, কাজিপুরের একটি ইউনিয়ন পরিষদের সচিব পরিচয় দেয়া শ্রীফলতলার রাজু ও রূপসী গ্রামের কয়েকজন মিলে গত সপ্তাহ খানেক ধরে এই ড্রেজার দিয়ে বালু কাটা শুরু করেছে। এ কারণে এলাকাজুড়ে নদী তীরে ভাঙন আরো তীব্রতর হচ্ছে। এ ব্যাপারে জরুরি পদক্ষেপ চেয়ে এলাকাবাসীর পক্ষে রূপসী গ্রামের রুবেল ভুঁইয়া শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেছেন। তিনি জানান, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে এলাকাবাসীর সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার কারণে আমাকে বালুদস্যুরা হামলা করেছে। আমাকে মারার জন্যও হুমকি দিচ্ছে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে বালুদস্যুদের এখন মুখোমুখি অবস্থা। তাই আমি দ্রুত পদক্ষেপ নিতে ইউএনও’র কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আশা করছি অতীতের মতো বালুদস্যুদের এই অপতৎপরতা বন্ধে উপজেলা প্রশাসন কার্যকরী পদক্ষেপ নেবে।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ শামসুজ্জোহা জানান, আমাদের উপজেলার কোথাও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করতে দেয়া হবে না। শুনেছি ঘাটাবাড়িতে ড্রেজার চালানো হচ্ছে। দ্রুতই কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।