× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নারী ও কন্যা শিশু নির্যাতনের ঘটনা ভয়াবহ : টিআইবি

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(৩ বছর আগে) নভেম্বর ২৫, ২০২০, বুধবার, ৮:১৮ পূর্বাহ্ন

দেশে নারী ও কন্যা শিশু নির্যাতনের ঘটনা ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটি বলছে, সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি, আর্থিক অস্বচ্ছলতা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাংশের দৃশ্যমান অদক্ষতা, অবহেলা ও পক্ষপাতিত্ব, বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতা, নিরাপত্তাহীনতা এবং সম্পদ ও ক্ষমতার যোগসাজশসহ চলমান করোনা সংকটের কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবি এসব কথা জানিয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যথাসময়ে অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির অভাবে ধর্ষণের মতো অপরাধ প্রতিরোধ করাও সম্ভব হচ্ছে না বলে অভিমত ব্যক্ত করেছে সংস্থাটি। নারী ও কন্যা শিশু নির্যাতনের প্রতিটি ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িতদের সুষ্ঠু বিচারিক প্রক্রিয়ায় কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জোর দাবি জানিয়েছে টিআইবি।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর মার্চ-এপ্রিল মাস নাগাদ নারী নির্যাতনের ঘটনা ৭০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত ধর্ষণ বা ধর্ষণের চেষ্টার শিকার হয়েছেন ১৯২ জন। চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে পারিবারিক নির্যাতনে খুন হয়েছেন ২৩৫ জন নারী।
একইসঙ্গে ধর্ষণের মতো পাশবিক অপরাধের ক্ষেত্রে ন্যায় বিচার নিশ্চিতের অভাবে ক্রমান্বয়ে তা মহামারির মতোই ছড়িয়ে পড়ছে।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সরকারি ৯টি ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের একটি হিসেবে প্রায় ১১ হাজার নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনার মধ্যে মাত্র ১৬০টি ক্ষেত্রে চূড়ান্তভাবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা সম্ভব হয়েছে। চূড়ান্ত বিচারে মাত্র এক শতাংশ তাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত নির্যাতনের ন্যায় বিচার পেয়েছেন। অর্থাৎ ৯৯ শতাংশ ঘটনার ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা যায়নি। যা খুবই উদ্বেগজনক।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, বর্তমানে প্রায় ১৫ শত মামলা উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশের কারণে বিচার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বিচার প্রক্রিয়া দীর্ঘ করার মাধ্যমে বিচারহীনতার ঝুঁকি সৃষ্টি করা হচ্ছে। সাধারণ ভুক্তভোগী যেখানে স্থানীয় পর্যায়ে থানা-পুলিশের কাছে যেতেই অনভ্যস্ত কিংবা হয়রানির শিকার হয়, সেখানে উচ্চ আদালত পর্যন্ত মামলা পরিচালনা করা তাদের কল্পনারও অতীত। তাই অনেকেই আইনের এই মারপ্যাঁচ ও দীর্ঘসূত্রতার কারণে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়।
উদ্বেগ প্রকাশ করে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, একটি বীভৎস ঘটনা আরেকটি বীভৎস ঘটনার আড়ালে হারিয়ে যাচ্ছে। বিচারহীনতার এই সংস্কৃতির বাতাবরণে প্রকৃত অর্থে দুর্বৃত্তরাই উৎসাহ পাচ্ছে। এমন বাস্তবতায় সংশ্লিষ্ট সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার পাশাপাশি জনগণকেও কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে, পাল্টাতে হবে নারীর প্রতি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর