যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচন, নির্বাচনে পরাজয় এবং ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া নিয়ে একের পর এক টুইট বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। তিনি এখনও পরাজয় স্বীকার করেননি। জো বাইডেনকে বিজয়ী হিসেবে মানেননি। তবে তিনি ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় সম্মতি দিয়েছেন বলে মিডিয়ায় খবর প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু গতকাল টুইটে তিনি জেনারেল সার্ভিসেস এডমিনিস্ট্রেশনকে (জিএসএ) ভয়াবহ বলে আখ্যায়িত করেছেন। বলেছেন, এই সংস্থার প্রধান এমিলি মারফি বিরাট এক কাজ করে ফেলেছেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট কে হবেন তা জেনারেল সার্ভিসেস এডমিনিস্ট্রেশন (জিএসএ) নির্ধারণ করতে পারে না।
এখানেই তিনি শেষ করেন নি।
নিজের ভেরিফাইড পেইজে একের পর এক টুইট করে যাচ্ছেন তিনি। আরেকটি টুইটে তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত জো বাইডেনের কাছে পরাজয় স্বীকার করা উচিত কিনা এ নিয়ে প্রশ্ন করেছেন। এতে তিনি লিখেছেন, বাইডেনের কাছে কি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পরাজয় স্বীকার করা উচিত? জরিপের ফল: ১৯০৫৯৩ (৯৮.৯%) বলেছেন- না। হ্যাঁ- বলেছেন ২১৮১ জন (১.১%)। মোট ভোট পড়েছে ১৯২৭৭৪টি। অর্থাৎ তার এ প্রশ্নে সাড়া দিয়েছেন এক লাখ ৯২ হাজার ৭৭৪ জন মার্কিনি। তার মধ্যে এক লাখ ৯০ হাজার ৫৯৩ জন ট্রাম্পের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন না। অর্থাৎ তারা বলেছেন, বাইডেনের কাছে ট্রাম্পের পরাজয় স্বীকার করা উচিত নয়। অন্যদিকে পরাজয় স্বীকারের পক্ষে রায় দিয়েছেন ২১৮১ জন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ২৪ শে নভেম্বর আরেকটি টুইট করেছেন। তাতে তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ইতিহাসে সবচেয়ে দুর্নীতির নির্বাচন হয়েছে। যখন আমাদের বিভিন্ন মামলা চলছে, তাতে কি হবে নির্ধারণ হয়নি, তখন জিএসএ’কে কিভাবে প্রাথমিকভাবে ডেমোক্রেটদের সঙ্গে কাজ করতে অনুমোদন দেয়া হলো? আমরা পূর্ণ গতিতে সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছি। আমরা কখনো ফেক ভোট এবং আধিপত্যের কাছে পরাজয় স্বীকার করবো না। আরেক টুইটে তিনি বলেছেন, ট্রাম্পের ভোটারদের শতকরা ৭৯ ভাগ মনে করেন ‘নির্বাচনকে চুরি করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে’। ট্রাম্প লিখেছেন, তারা শতকরা ১০০ ভাগ সঠিক। কিন্তু আমরা কঠিন লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। এটা হলো জালিয়াতির নির্বাচন!