× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

হামলায় আহত কলেজছাত্র আল আমিন সংকটাপন্ন

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
২৬ নভেম্বর ২০২০, বৃহস্পতিবার

সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত খুলনার বিএল কলেজ শিক্ষার্থী আল আমিন (১৮) বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। গত ১৯শে নভেম্বর নগরীর দৌলতপুর থানাধীন মহেশ্বরপাশা পশ্চিমপাড়ায় এ হামলার ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় ভিকটিমের মামা আব্দুল সামাদ মোল্লা বাদী হয়ে ২৩ জনকে আসামি করে দৌলতপুর থানায় মামলা দায়ের করলেও পুলিশ এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এজাহারভুক্ত আসামিরা হলো-পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা করিম মোল্লার ছেলে মাহবুব (৩৪), পুটুমের ছেলে লব (২০), শহীদ মোল্লার ছেলে আশরাফুল (২৩)এবং অজ্ঞাতনামা আরো ২০-২৫ জন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ১৯শে নভেম্বর সন্ধ্যায় বাদীসহ তার ভাগ্নে কলেজছাত্র আল আমিন মহেশ্বরপাশা পশ্চিম পাড়া জনৈক আহসান হাবিবের চায়ের দোকানে বসে ছিলেন। সন্ধ্যা ৭টায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ১৫-২০ জনের একদল দুর্বৃত্ত আল আমিনকে কথা আছে বলে পাশে ডেকে নিয়ে যায়। সে কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুর্বৃত্তরা তাকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। সে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে দুর্বৃত্তরা তাকে কিল ঘুষি ও লাঠি দিয়ে উপর্যুপরি পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। তার চিৎকারে বাদীসহ পাশের লোকজন ছুটে গেলে দুর্বৃত্তরা দৌড়ে পালিয়ে যায়।
এ সময় তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি তাকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তার মামা মোশাররফ হোসেন জানান, বর্তমানে ভিকটিমের অবস্থা সংকটাপন্ন। মাথার তিন স্থান ফেটে গেছে। সে মুখে কথা বলতে পারছে না। ক্রমে তার অবস্থা অবনতির দিকে যাচ্ছে। তার সুস্থতার জন্য তিনি সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন। ভিকটিম বিএল কলেজের এমএ প্রথম বর্ষের কমার্স বিভাগে ছাত্র। মামলাটি তদন্ত করছেন এসআই মনিরুজ্জামান মিলন। তিনি বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারের ব্যাপারে প্রথমে ডিজিটাল ব্যবস্থা ব্যর্থ হয়ে এখন সরাসরি অভিযানে নামা হয়েছে। শিগগিরই আসামি গ্রেপ্তার সম্ভব হবে। আর ভিকটিমের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সে ঢাকা মেডিকেল কলেজে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছে। তবে তার জবানবন্দি গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি কারণ হিসেবে তিনি জানান, খুমেক হাসপাতালে ভর্তির পর ভিকটিমের অবস্থা অবনতি হলে তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর