ধুম পড়েছে আমন কাটার। তাই রাত দিন চাষিরা ব্যস্ত ধান কাটা, মাড়াই ও ঝাড়াইয়ে। জেলার হাকালুকি, হাইল হাওর ও কাউয়াদীঘি হাওর বেষ্টিত মৌলভীবাজারে মাঠ জুড়ে পাকা আধপাকা আমন ধান। ধানের মাঠে চাষিদের উপস্থিতিতে রোপা আমনকে ঘিরে এক অন্য রকম পরিবেশ বইছে এখন। চাষিরা জানালেন এ বছর ফলন ভালো হলেও ইঁদুর, কচুরিপানা আর হঠাৎ বৃষ্টিতে ফলনের ক্ষতি হয়েছে। এ কারণে গোলায় ধান উঠছে কম। রাজনগর উপজেলার কাউয়াদিঘী হাওর এলাকার পুকুরিয়া বিল পাড়ের সুনামপুর গ্রামের কয়েকজন কৃষক জানান- এবার ধান ভালো হয়েছে। তবে শীষে ধানের পরিমাণ কম।
উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের শাহাপুর গ্রামের চাষিরা জানান হাওর পাড়ের ঘাগটিবিল ও গোয়ালী বিলের পাশে ২ থেকে আড়াইশ’ বিঘা আমান চাষবাদ হয়েছিল। ৭০ থেকে ৮০ শতাশ জমির ধান ইঁদুর কেটে শেষ করেছে। আমন অথবা বোরো ধান চাষাবাদে বর্তমানে ইঁদুর ও কচুরিপানা একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই শতভাগ ধান তুলতে হলে হাওর থেকে ইঁদুরকে যেকোনো মূল্যে হঠাতে হবে। মনু প্রকল্পের আওতাধীন মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগর উপজেলায় এবার প্রায় ১১ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষাবাদ হয়েছে। কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে এবার মৌলভীবাজার জেলায় ১ লাখ ১ হাজার ৪শ’ হেক্টর জমিতে রূপা আমন চাষাবাদ হয়েছে। যার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৪শ’ হেক্টর। সব মিলিয়ে জেলায় এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১২৮০ হেক্টর বেশি জমি আবাদ হয়েছে। মৌলভীবাজার কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ লুৎফুল বারী বলেন, শুধু কাউয়াদিঘী ও তৎসংলগ্ন মনু প্রকল্পে ১১ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়। এবার ৬শ’ হেক্টর বেশি জমি আবাদ হয়েছে মনু প্রকল্পে। মনু প্রকল্পে ৫২ হাজার ৯শ’ টন ধান পাওয়া যাবে এবার।