× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চিকিৎসা না পেয়ে দুই নবজাতকের মৃত্যু / হাইকোর্টে তিন হাসপাতালের প্রতিবেদন

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
২৬ নভেম্বর ২০২০, বৃহস্পতিবার

তিন হাসপাতাল ঘুরে চিকিৎসা না পেয়ে দুই নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতালগুলো ব্যাখ্যা সম্বলিত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। গতকাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) পক্ষে আইনজীবী কাজী এরশাদুল আলম, ঢাকা শিশু হাসপাতালের পক্ষে আইনজীবী মাহবুব শফিক এবং মুগদা ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের পক্ষে আইনজীবী আব্দুল খালেক হাইকোর্টে এ সংক্রান্ত ব্যাখ্যা জমা দেন। এরপর, বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের বেঞ্চ এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ১৮ই জানুয়ারি ধার্য করেছেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। এদিকে এ সংক্রান্ত রুলের শুনানিতে মতামত দিতে সুপ্রিম কোর্টের তিন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও একজন শিশু বিশেষজ্ঞকে অ্যামিকাস কিউরি (আদালতে আইনি সহায়তাকারী) হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে হাইকোর্ট। তারা হলেন, এডভোকেট জেড আই খান পান্না, ড. শাহদীন মালিক, এডভোকেট মনজিল মোরসেদ ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের শিশু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান। ডিএজি আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, মুগদা ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল তাদের ব্যাখ্যায় বলেছে, সেখানে নবজাতকদের পর্যাপ্ত চিকিৎসা দেয়ার মতো উপাদান তাদের নেই। আর ঢাকা শিশু হাসপাতাল যে ব্যাখ্যা দিয়েছে তাতে তাদের বক্তব্যের মধ্যে মতভিন্নতা রয়েছে।
হাসপাতালের ঊর্ধ্বতনরা বলছেন, দুই নবজাতককে সেখানে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি তারা জানতেন না। কিন্তু হাসপাতালে এম্বুলেন্স সহযোগে দুই নবজাতককে নিয়ে যাওয়া, টিকিট কাটাসহ সেখানে অবস্থান করার সব তথ্যই রয়েছে। বিএসএমএমইউ বলেছে, দুই নবজাতককে নিয়ে যাওয়ার পর তারা হাসপাতাল প্রাঙ্গণে একজন নার্স পাঠান এবং কর্তব্যরত নার্স শিশুদের কোনো পালস খুঁজে পাননি। এর আগে ২রা নভেম্বর, তিন হাসপাতালে ঘুরে যমজ নবজাতক মৃত্যুর ঘটনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল, মুগদা কর্তৃপক্ষকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এর আগে সদ্য জন্ম নেয়া অসুস্থ যমজ সন্তানকে চিকিৎসার জন্য তিনটি হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু কোনো হাসপাতাল চিকিৎসা দেয়নি। দুপুরে দুই যমজ শিশু মারা যায়। পরে দুই নবজাতকের লাশ নিয়ে হাইকোর্টে যান তিনি। এরপর হাইকোর্ট বিষয়টি নজরে নেন। সুপ্রিম কোর্টের এমএলএসএস মো.আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী সায়েরা খাতুন অসুস্থ বোধ করলে মুগদা হাসপাতাল নেয়ার পথে সিএনজিচালিত অটোরিকশার মধ্যে দু’টি বাচ্চা প্রসব করেন। এ সময় তারা প্রসূতিকে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল, মুগদায় ভর্তি করেন। সেখানে এ বিষয়ে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই, তারা নবজাতকদের শ্যামলীতে ঢাকা শিশু হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। পরে দুই নবজাতককে এম্বুলেন্সে করে শিশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বলা হয় তাদের আইসিইউ খালি নেই। নরমাল বেডে ভর্তি করতে হবে। এজন্য দিনে প্রতি বাচ্চার জন্য ৫ হাজার করে টাকা লাগবে। এ সময় আবুল কালাম আজাদ হাইকোর্টের এক বিচারপতির সঙ্গে এ বিষয়ে আলাপ করেন। বিচারপতি তার নবজাতকদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন এবং পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। পরে তিনি বিএসএমএমইউ হাসপাতালে শিশুদের নিয়ে আসেন এবং পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু পরিচালকের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা তাকে জানান পরিচালক মিটিংয়ে আছেন। পরে জানান পরিচালক বাসায় চলে গেছেন। এরপর পরিচালকের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা একজন চিকিৎসককে দিয়ে এম্বুলেন্সে নবজাতকদের দেখান। তখন চিকিৎসক বলেন, যমজ নবজাতকরা আর বেঁচে নেই। এরপর ন্যায়বিচার চাইতে দুই নবজাতকের লাশ নিয়ে হাইকোর্টে আসেন তাদের বাবা আবুল কালাম।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর