× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

খোকসা পৌরসভা নির্বাচন /দলীয় কোন্দল বাড়ার আশঙ্কা নেতাকর্মীদের

বাংলারজমিন

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
২৭ নভেম্বর ২০২০, শুক্রবার

কুষ্টিয়ার খোকসা পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে গরম হয়ে উঠেছে উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতি। বেশির ভাগ নেতাকর্মীর মতকে প্রাধান্য না দিয়ে মেয়রপ্রার্থী হিসেবে একজনের নাম কেন্দ্রে পাঠানোয় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। খোকসা পৌর ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আল মাছুম মোর্শেদ শান্তর নাম প্রস্তাব করে জেলায় পাঠালেও কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে শুধুমাত্র বর্তমান মেয়র তারিকুল ইসলামের একক নাম। এ নিয়ে পৌর ও উপজেলার বড় একটি অংশের নেতাকর্মী ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। এজন্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে দায়ী করেছেন তারা। বিষয়টি ভালোভাবে নেননি স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জও।
 জানা গেছে, প্রথম ধাপে কুষ্টিয়ার খোকসা পৌরসভা নির্বাচনে ভোট গ্রহণের জন্য তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই মোতাবেক পৌর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আল মাছুম মোর্শেদ শান্তর নাম প্রস্তাব করে উপজেলার নেতাদের কাছে পাঠানো হয়। উপজেলার নেতারা সেটি জেলায় পাঠান।
খোকসার নেতাকর্মীরা জানান, বর্তমান মেয়র তারিকুল ইসলাম জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর খান অনুগত হওয়ায় জেলা থেকে শুধুমাত্র তার একক নাম প্রস্তাব করে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। দলীয় যে সিদ্ধান্ত ছিল তিনজনের নাম প্রস্তাব করে পাঠাতে হবে সেটা জেলার নেতারা মানেননি। এমনকি পৌর ও উপজেলা কমিটি শান্তর নাম প্রস্তাব করলেও রাজনৈতিক গ্রুপিংয়ের কারণে জনপ্রিয় নেতা হওয়া সত্ত্বেও তার নাম বাদ দেয়া হয়েছে।
এদিকে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত ঠিকমতো বাস্তবায়িত না হওয়ায় চরম ক্ষুব্ধ হয়েছেন কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ। তিনি এ সিদ্ধান্তকে স্বেচ্ছাচারিতার শামিল বলে জানিয়েছেন।
সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জ বলেন, ‘পৌরসভা থেকে রেজ্যুলেশন করে শান্তর নাম প্রস্তাব করে উপজেলার নেতাদের মাধ্যমে জেলায় পাঠানো হয়। সেখানে জেলার কয়েকজন নেতা নিজেদের ইচ্ছামতো একজনের নাম পাঠিয়ে দিলো। আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে ধ্বংস করতে তারা উঠে পড়ে লেগেছে। দলীয় নির্দেশনা তারা না মেনে ইচ্ছামতো যা তা করছেন। দলের সাংগঠনিক প্রক্রিয়া তারা মানেন না। এটা দলের নেতাকর্মীরা ও সাধারণ মানুষ ভালোভাবে নেয়নি। এটা চরম স্বেচ্ছাচারিতা।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল আখতার বলেন, পৌর কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী শান্তর নাম প্রস্তাব করে জেলায় পাঠানো হয়েছে। তারিকুলের নাম প্রস্তাব করে কে পাঠিয়েছে তা আমাদের জানা নেই। জেলা থেকে দুই নেতার এমন কাজ করা উচিত হয়নি। তিনজনের নাম পাঠানো হলে আরো ভালো হতো। যে কাজ জেলার নেতারা করেছেন তাতে তাদের ওপর আস্থা থাকলো না নেতাকর্মীদের। এতে করে নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভাজন ও অসন্তোষ বাড়লো।
আওয়ামী লীগের স্থানীয় কর্মীরা জানান, তারিকুলের সাংগঠনিক কোনো যোগ্যতা নেই। তার অবস্থা খারাপ। তাকে মনোনয়ন দেয়া হলে জয় পাওয়া কঠিন হবে। সেখানে শান্তর বাবা এখানকার জনপ্রিয় নেতা ছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা। শান্ত নিজেও জনপ্রিয় নেতা। সাংগঠনিকভাবে তিনি সব থেকে সক্রিয় নেতা। তাকে বাদ দিয়ে নাম পাঠানো ভালোভাবে নেয়নি নেতাকর্মীরা।’
অপরদিকে কেন্দ্রে নাম না গেলেও দলীয় মনোনয়নপত্র কিনেছেন আল মাছুম মোর্শেদ শান্ত। তিনি বলেন, ‘জনগণ আমাকে ভালোবাসে। কিন্তু কয়েকজন নেতা স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে আমি যাতে দলীয় মনোনয়ন না পায় সে চেষ্টা করছে।
বর্তমান মেয়র তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমার নাম প্রস্তাব করে পৌরসভা থেকে পাঠানো হয়েছে। জেলার নেতারা কি করেছেন তা তাদের বিষয়।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী বলেন, ‘খোকসা থেকে একমাত্র বর্তমান মেয়র তারিকুলের নাম প্রস্তাব করে পাঠানো হয়েছে। তার দাবি, পৌরসভা ও উপজেলা থেকে তারিকুলের নাম প্রস্তাব করে জেলায় পাঠানো হয়েছিল। তাই বিতর্ক এড়াতে একমাত্র তারিকুলের একক নাম পাঠানো হয়েছে।’
উল্লেখ্য, আগামী ২৫শে ডিসেম্বর কুষ্টিয়ার খোকসা পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর