ক্রিকেটের সঙ্গে ফুটবলের কোনো মিল নেই। কিন্তু দুটি খেলাকে এক বিন্দুতে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে ফুটবল জাদুকর দিয়েগো ম্যারাডোনার বিদায়। গতকাল মিরপুর শেরেবাংলা মাঠে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের প্রথম ম্যাচ শেষে সারিবদ্ধভাবে মস্তক অবনত করে দাঁড়িয়ে যান আসরের সব ক্রিকেটার। বাদ যায়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারী এমনকি মাঠে উপস্থিত সংবাদকর্মীরাও। এক মিনিট নীরবতা পালন করে ম্যারাডোনার বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন সকলে। ক্রিকেট মাঠেও ছড়িয়ে যায় ম্যারাডোনার শোকগাথা। এ সময় জায়ান্ট স্ক্রিনে ফুটে ওঠে তার ছবি। গোটা বিশ্বকে এই ফুটবল ঈশ্বর এনেছেন একই ছাতার নিচে।
বিশ্বের যে কোনো খেলোয়াড়ের ওপর তার প্রভাব কম বেশি পড়েছে। বাংলাদেশের বর্তমান ও সাবেক ক্রিকেটারদের মধ্যেও তার প্রভাব কম নয়। যেমনটা অকপটে জানালেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক দুই অধিনায়ক আকরাম খান ও হাবিবুল বাশার সুমন। দৈনিক মানবজমিনকে আকরাম খান বলেন, ‘তার চলে যাওয়া অপূরণীয় ক্ষতি। একজন ম্যারাডোনার অভাব কারো পক্ষে পূরণ করা কোনদিনও সম্ভব নয়। আমাদের ক্রিকেটারদের ওপরও তার প্রভাব কম নয়। সে একজন অসাধারণ খেলোয়াড়। আজ বাংলাদেশে আর্জেটিনার যত ভক্ত তা কিন্তু শুধু তার জন্যই। আমরা তার খেলা দেখার জন্য বসে থাকতাম। তিনি আমাদের বুঝিয়েছেন ফুটবল বা ক্রিকেট- যে খেলাই হোক কিভাবে নিজের সেরাটা দিতে হয়। আমরা তার প্রয়াণে দারুণভাবে শোকাহত।’
জাতীয় দলের নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন বলেন, ‘আমরা যখন ছোট তখন খেলা মানেই ফুটবল। আর আমাদের কাছে ম্যারাডোনা মানে বিশ্ব। আমি ভীষণভাবে ব্রাজিলের ভক্ত। কিন্তু আমার কাছে কেউ যদি চানতে চাইতো যে আমার প্রিয় ফুটবলার কে আমি বলতাম ম্যারাডোনার নাম। কারণ তার যে খেলার ধরন, তার ফুটবল নিয়ে যে জাদু সবই আমাকে মুগ্ধ করতো। তিনি আমাদের বুঝিয়েছেন কিভাবে একজন খেলোয়াড়ের প্রতিভা দিয়ে বিশ্বকে জয় করা যায়। তাকে হারোনার ক্ষতি কোনো দিন পূরণ হবে না। তবে আমি মনে করি তার কাছ থেকে আমাদের যে কোনো খেলোয়াড়ের শেখার আছে। তার জন্য শোক জানানোর ভাষা নেই।’ ম্যারাডোনা মৃত্যুতে জাতীয় দলের প্রায় সব ক্রিকেটারই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোক জানিয়েছেন।