× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘ম্যারাডোনাকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম’

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
২৭ নভেম্বর ২০২০, শুক্রবার

২০১৯ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত হয় স্পেশাল অলিম্পিক। এ উপলক্ষে ২০১৮ সালে ৩০টি দেশ নিয়ে এক মিনি ফুটবল আসরের আয়োজন করা হয়। সেখানে চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল ম্যারাডোনার সাক্ষাৎ পাওয়া বাংলাদেশ দল। তখন ফুজাইরা ক্লাবের মাঠেই অনুশীলন করেন বাংলাদেশের ফুটবলাররা। আর সেখানে বাংলাদেশের ফুটবলারদের সঙ্গে সময় কাটান বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। স্বতঃস্ফূর্তভাবে খেলোয়াড়দের সঙ্গে তোলেন ছবিও। বাংলাদেশ অলিম্পিক দলের কোচ ছিলেন সাবেক জাতীয় ফুটবলার আব্দুর রাজ্জাক। তিনি সে সময় ম্যারাডোনাকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
 
ম্যারাডোনাকে কাছে পাওয়ার সে স্মৃতি এখনো তাজা বাংলাদেশ দলের কোচ আব্দুর রাজ্জাকের কাছে। টুর্নামেন্টে অনেক দল থাকলেও ম্যারাডোনা নাকি শুধু এসেছিলেন বাংলাদেশের ফুটবলারদের সঙ্গে দেখা করতে। বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হলে ম্যারাডোনা খুশি হবেন, বিদায় নেয়ার সময় জানিয়ে গিয়েছিলেন তাও। সে মুহূর্তটি সম্পর্কে আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমাদের অনুপ্রেরণা দেয়ার জন্য এসেছিলেন। আমাদের সঙ্গে প্রায় ১৫-২০ মিনিটের মতো ছিলেন। তিনি এলেন আর আমাদের জয় করে চলে গেলেন।’ যাওয়ার সময় বলেছিলেন, ‘তোমরা চ্যাম্পিয়ন হলে আমি খুশি হবো।’ আরব আমিরাতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল বাংলাদেশ। সে সময়ের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে রাজ্জাক বলেন, ‘আমরা তখন ফুজাইরায় ছিলাম। সেখানকার গাইড খাদিজা জানালো আমাদের জন্য একটি সারপ্রাইজ আছে। সেদিন বিকালে আমাদের অনুশীলনের সময়ে দেখলাম একটি লিমুজিন গাড়ী থেকে কেউ একজন নামছেন। চারদিকে নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে ঘিরে রেখেছে। আমি তখন মাঠের মাঝখানে ছিলাম। তাকে দেখেই চিনতে পারলাম। তিনি আর কেউ না, তিনি ফুটবল ঈশ্বর। মাঝমাঠ থেকে দৌড়ে ম্যারাডোনার গাড়ির কাছে গেলাম। তার হাত স্পর্শ করলাম। আমি স্বপ্ন দেখছি কিনা তা পরখ করতে তার হাতে চাপ দিলাম। তিনিও আমার হাতে চাপ দিলেন। তখন আমি ম্যারাডোনাকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানাই। তিনি আমার কাছে জানতে চান বাংলাদেশ যেন কোথায়? আমি বললাম ভারতের পাশে। তখন তিনি বলেন, হ্যা চিনতে পেরেছি। শুনেছি সেখানে বিল্ডিংয়ে বিল্ডিংয়ে আর্জেন্টিনার পতাকা ওড়ে। আর্জেন্টিনার অনেক ভক্ত আছে সেখানে। আমার এবং মেসিরও (লিওনেল) নাকি অনেক ভক্ত আছে সেখানে। সেখানকার কোনো ম্যানেজমেন্ট যদি আমাকে আমন্ত্রণ জানায় অবশ্যই আমি বাংলাদেশে যাবো।’     
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর