× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

খালের দায়িত্ব পাচ্ছে সিটি করপোরেশন

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
২৭ নভেম্বর ২০২০, শুক্রবার

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, রাজধানীর খালের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের হাতে দিতে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সংস্কারসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহ এতোদিন ওয়াসা পালন করেছে। গতকাল মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এ লক্ষ্যে আয়োজিত এক সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরের পানি নিষ্কাশনের জন্য জনবল, যন্ত্রপাতিসহ সবকিছুই সিটি করপোরেশনের আছে। তাদের সক্ষমতা আছে। এক সময় খালের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের হাতেই ছিল এবং আইনেও তাই আছে। পরবর্তীতে কোনো এক সময়ে রাষ্ট্রপতির আদেশে সেটি ঢাকা ওয়াসার হাতে দেয়া হয়। এখন দুই সিটির মেয়র খালের দায়িত্ব নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
সকলে মিলে আলোচনায় বসে আমরা ওয়াসা থেকে দুই সিটি করপোরেশনের নিকট খালসমূহ হস্তান্তরের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তিনি বলেন, হস্তান্তর কাজটি এখন কীভাবে সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা যায় এ লক্ষ্যে একটি কারিগরি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে চারজন করে আটজন, ঢাকা ওয়াসা থেকে চারজন এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ ইবরাহিমকে আহ্বায়ক ও মোহাম্মদ সাঈদ উর রহমানকে সদস্য সচিব করে এই কমিটি করা হয়েছে। এই কমিটি সিটি করপোরেশন কীভাবে কাজ করবে, ওয়াসা কীভাবে দায়িত্ব হস্তান্তর করবে সে বিষয়ে প্রতিবেদন দেবে। সে অনুযায়ী আইনানুগ প্রক্রিয়া সম্পাদন হবে। কমিটি আগামী ৩০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেবে। সেই রিপোর্টের আলোকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি। রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পৃথিবীর আধুনিক শহরে ইউটিলিটিক্যাল সাপোর্ট দেয়ার জন্য পাইপলাইন স্থাপন করতে হয় এবং সময় সময় ক্যাপাসিটির জন্য পরিবর্তনও করতে হয়। এ সমস্যা সমাধানে মেয়রসহ বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে বলেও জানান তিনি। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আজকের দিনটি ঐতিহাসিক। আমরা দুই সিটির মেয়র চেয়েছিলাম ঢাকা শহরের খালগুলো আমাদের আওতায় দিয়ে দিতে। আজ সে বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা মনে করি জনগণের জলাবদ্ধতা নিয়ে যে দুর্ভোগ আমরা চেষ্টা করবো জনগণকে এই জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষার জন্য। দক্ষিণ সিটি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, “আজকে আমরা দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত সমস্যা নিরসনে একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি। প্রায় ৩০ বছরের বেশি সময় ঢাকাবাসী দুর্ভোগে নিমজ্জিত ছিল। আমি আশাবাদী সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের কাজের মাধ্যমে অচিরেই ঢাকাবাসীকে এর সুফল এনে দিতে পারবো। ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান বলেন, ১৯৮৮ সালে রাষ্ট্রপতির একটি সিদ্ধান্ত ছিল ওয়াসাকে দিয়ে দেয়া। ২০০৯-১০ সালে দায়িত্বে আসার পর ২০১২ সাল থেকে অনেক বার বলেছি এটা যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব সিটি করপোরেশনকে হস্তান্তর করা হোক। আজকে সেটার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এসময় সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এবং মন্ত্রণালয় ও দুই সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর