মর্গে রাখা হয়েছে কেনিয়ার যুবক পিটার কিগেন (৩২)-এর মৃতদেহ। লাশ সমাহিত করার আয়োজন চলছে। লাশ যাতে পচে না যায় এ জন্য মর্গে তার ডান পায়ে ফুটো করছিলেন স্টাফরা। সেখান দিয়ে ফরমালিন প্রবেশ করানোর চেষ্টা করছিলেন। এমন সময় বেদনায় কঁকিয়ে উঠলেন ওই মৃত যুবক। ফিরে পেলেন জীবন। তাকে দ্রুত আবার হাসপাতালে নেয়া হলো। সেখানে চিকিৎসায় তিনি আবার দুনিয়ার আলো দেখতে পেয়েছেন।
এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন ডেইলি মেইল। এতে বলা হয়, পেটের সমস্যায় বাড়িতে অচেতন হয়ে পড়েন কেনিয়ার ওই যুবক। তাকে নেয়া হয় হাসপাতালে। ঘটনাটি মঙ্গলবারের। কেরিচো কাউন্টিতে কাপকাটেট হাসপাতালে নেয়ার পর তার নানা রকম পরীক্ষা নিরীক্ষা করলেন ডাক্তার, নার্সরা। কিন্তু তার ভিতর প্রাণ খুঁজে পেলেন না তারা। ফলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হলো। ব্যাস, পিটার কিগেনের জায়গা হলো মর্গ বা লাশ রাখার ঘর। শুরু হলো তাকে সমাহিত করার প্রক্রিয়া। তার ডান পায়ে একটি ছিদ্র করছিলেন স্টাফরা। এমন সময় ব্যথায় কঁকিয়ে ওঠেন কিগেন। স্টাফরা আতঙ্কে, ভয়ে ছিটকে পড়লেন। এমন ঘটনা তাদের সামনে ঘটে না। অকস্মাৎ কি হলো যে মরা মানুষ চিৎকার করে উঠল! ভয়ে জবুথবু হয়ে গেলেন তারা। ডাকা হলো সংশ্লিষ্টদের। তারা পরীক্ষা করে দেখলেন মারা যান নি পিটার কিগেন। তিনি চেতনা ফিরে পেয়েছেন। আর সঙ্গে সঙ্গে তিনি ফিরে পেলেন দ্বিতীয় জীবন।
Zahir Islam
২৮ নভেম্বর ২০২০, শনিবার, ২:১১May Allah help you.