তফসিল ঘোষণার পর সীতাকুণ্ড পৌর নির্বাচনে উৎসাহ-উদ্দীপনা বেড়ে গেছে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের। ইতিমধ্যে মাঠ পর্যায়ে তৎপরতা বেড়েছে তাদের। এরমধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নেতাকর্মীরা একটু বেশি তৎপর। যারা তফসিল ঘোষণার আগে থেকেই দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে ঘরোয়া বৈঠকসহ বিভিন্নভাবে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। এদের মধ্যে এবারও মেয়র পদে প্রার্থী হওয়ার আশায় তৎপর রয়েছেন বর্তমান মেয়র ও সীতাকুণ্ড পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদিউল আলম। তিনি বলেন, গত ৫ বছর ধরে আমি এলাকার মানুষের সাথে কাটিয়েছি। দলের দায়িত্বের পাশাপাশি এলাকার উন্নয়ন কাজও করেছি। আশা করি দল এবারও আমার কর্মের মূল্যায়ন করবে।
আশা করছি মনোনয়ন আমিই পাব। মেয়র পদে প্রার্থী হতে চান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ ইসহাক। মনোানয়ন পেতে শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের সাথে যোগাযোগ রেখে চলেছেন তিনি। আধুনিক সীতাকুন্ড গড়ে তোলার প্রত্যয় নিয়ে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন চাইবেন বলে জানিয়েছেন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সমপাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ। এবার মেয়র পদে নির্বাচন করতে চান বর্তমান পৌর কাউন্সিলর ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সমপাদক মাইমুন উদ্দিন মামুন। এলাকায় তার রয়েছে জনপ্রীয়তা। তিনি জানান, আমি পরপর তিনবারের কাউন্সিলর। তখন ওয়ার্ড পর্যায়ে মানুষের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি। এবার মেয়র নির্বাচিত হয়ে সীতাকুন্ড পৌরসভার মানুষের পাশে থাকতে চাই। পৌরসভাকে মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। গরীব অসহায় মানুষের নির্ভরতার প্রতিক হতে চাই।
অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রত্যাশা নিয়ে মেয়র পদে মনোনয়ন চান উপজেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সমপাদক মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী। মেয়র পদে মনোনয়ন চান বর্তমান পৌর কাউন্সিলর সফিউল আলম চৌধুরী মুরাদ। তিনি পৌরসভার পরপর দুইবারের কাউন্সিলর। কাউন্সিলর জুলফিকার আলী শামীমও এবার মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন চান। তিনিও দুইবারের কাউন্সিলর।
আধুনিক পৌরসভায় রূপান্তর করার প্রত্যাশায় মোহাম্মদীয়া গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার মো. জাহাঙ্গীর, আবুল কাশেম ওয়াহেদীও প্রার্থী হতে চান। মেয়র পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী রোটারিয়ান মোহাম্মদ ইউসুফও। তিনি বলেন, স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী আন্দোলনে অবদান রেখেছি। পৌরসভার উন্নয়নেও অবদান রাখতে চাই।
মেয়র পদে প্রার্থী হতে চান চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য গোলাম রব্বানীও। তিনি বলেন, গতবারও দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলাম। দলের কথা ভেবে সরে দাঁড়িয়েছি। মেয়র পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাহেদ চৌধুরী ফারুকও। তিনি বলেন, স্কুলে ছাত্রলীগ দিয়ে শুরু। আজ অবধি দলের জন্য নিজেকে উজাড় করে দিয়েছি। এবার পৌরবাসীর উন্নয়নে নিজেকে উজাড় করতে চাই। মেয়র পদে তরুণ প্রার্থী ভুঁইয়া সামী আল মুজতবা নির্বাচন করতে চান। মনোনয়ন পেতে তিনি জনসংযোগ করছেন এবং লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন।
আওয়ামী লীগ থেকে মেয়র পদে একাধিক প্রার্থী হতে চাইলেও বিএনপি থেকে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক কারো কোন তৎপরতা আপাতত নেই। তবে পৌর বিএনপির সভাপতি ইউসুপ নিজামী, পৌর বিএনপি নেতা আলমগীর ইমরানও মেয়র পদে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং নীরবে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এর পেছনে মূলত হামলা-মামলার ভয়ের কথা জানিয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।